ঢাকা, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

বেক্সিমকো ও আইএফআইসির খরচ যাচাইয়ে দুই তদন্ত কমিটি

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ ১৪:১১:৫১

বেক্সিমকো ও আইএফআইসির খরচ যাচাইয়ে দুই তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার থেকে সংগৃহীত বিপুল অঙ্কের অর্থ যথাযথ খাতে ব্যবহার হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে বেক্সিমকো গ্রুপের দুটি বন্ডের উপর তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে তিন সদস্যের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। এর আগে কমিশনের ৯৬৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

কোন কোন বন্ডের তদন্ত হবে?

২০২১ সালে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ড ‘আল ইসতানিয়া’র মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এই অর্থ নবায়নযোগ্য জ্বালানির তিস্তা ও করতোয়া সোলার প্রকল্পে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা ছিল। পরে ২০২৪ সালে আইএফআইসি গ্যারান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে আরও ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তোলা হয়, যা মূলত আবাসন খাতে ব্যয় হওয়ার কথা ছিল। সব মিলিয়ে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এই বিপুল তহবিল প্রকল্পভিত্তিক খরচ হয়েছে কি না, সেটিই যাচাই করবে বিএসইসি।

তদন্তে যারা দায়িত্বে থাকবেন?

বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ড আল ইসতানিয়া–র তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন– অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, উপপরিচালক আসিফ ইকবাল ও সহকারী পরিচালক মো. সাগর ইসলাম।

আইএফআইসি গ্যারান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড–এর তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন– অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মাদ রাকিবুর রহমান, উপপরিচালক শাহনেওয়াজ ও সহকারী পরিচালক মো. হাসান।

তদন্তের আওতায় আসবে যারা

বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, গ্রিন সুকুক বন্ডের ক্ষেত্রে ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো লিমিটেড, এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান তিস্তা সোলার ও করতোয়া সোলার, স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি), ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং নিরীক্ষক এম.জে. আবেদীন অ্যান্ড কোং–এর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে।

একইভাবে শ্রীপুর টাউনশিপ বন্ডের ক্ষেত্রে ইস্যুকারী শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড, ট্রাস্টি সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং নিরীক্ষক এম.জে. আবেদীন অ্যান্ড কোং–এর কার্যক্রমও অনুসন্ধানে আসবে।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “তহবিল সঠিক খাতে ব্যয় হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্যই এ তদন্ত। পূর্বে অনুমোদন প্রক্রিয়া যাচাই করা হয়েছিল, এবার ব্যবহারের দিকটি যাচাই করা হবে। যদি অপব্যবহার প্রমাণিত হয়, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এএসএম/

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত