ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২
পাঠ্যবই খোলাবাজারে বিক্রি: গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্য তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে শতভাগ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো চলতি বছরও জানুয়ারির শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেয় সরকার। তবে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছাতে বিলম্ব হয়; এপ্রিল মাস পর্যন্ত বই বিতরণ চলতে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একাধিক মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান খোলাবাজারে বিনা মূল্যের বই বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশের ২৩টি ছাপাখানা সরকারি বিনা মূল্যের পাঠ্যবই অবৈধভাবে বাজারে বিক্রি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বই বিক্রির সিন্ডিকেটে ১৬ পরিবহন কনট্রাক্টরও জড়িত ছিলেন। এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট ছাপাখানার মালিকদের সতর্ক করে দিয়েছে এবং মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে ওই পরিবহন কনট্রাক্টরদের আর কাজ দেওয়া হবে না।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ২৩ ছাপাখানা হলো—রাব্বিল প্রেস, হাওলাদার প্রেস, মেরাজ প্রেস, ফরাজি প্রেস, ফাইজা প্রেস, শাপলা প্রেস, দিগন্ত প্রিন্টার্স, সোহাগ প্রিন্টার্স, টাইম মিডিয়া প্রেস, লেটার অ্যান্ড কালার প্রেস, মেঘদ্যুত প্রেস, টাঙ্গাইল প্রেস, আলিফ প্রেস, মৌসুমী প্রেস, জনতা প্রেস, এস আর প্রিন্টিং প্রেস, আনন্দ প্রিন্টার্স, রেদওয়ানিয়া প্রেস, অক্সফোর্ড প্রেস, মোল্লা প্রিন্টিং প্রেস, অটো প্রিন্টিং প্রেস, সৃষ্টি প্রিন্টার্স ও গ্লোবাল প্রিন্টিং প্রেস। আর সংশ্লিষ্ট পরিবহন কনট্রাক্টরদের মধ্যে রয়েছেন আবুল বাতেন, মো. শুকুর আলী, রহমত আলী, চান মিয়া, রাসেল (এমআর ট্রান্সপোর্ট), মেহেদী, আলমাস, মো. রফিক, মহিদ হোসেন, বাবুল, আক্কাস আলী, রাজিব, খলিল, জীবন, আব্দুল কাদের ও মনসুর।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিন্ডিকেটটি প্রতিটি বই মাত্র ৩০ টাকায় কিনে নেয়, অথচ ছাপাতে খরচ হয় প্রায় ৭০ টাকা। পরে সেই বই খোলাবাজারে ১৩০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। এভাবেই বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকেই রাজধানীর বাংলাবাজার, নীলক্ষেত, মোহাম্মদপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকার দোকানে বিনা মূল্যের বই বিক্রি হচ্ছিল। এমনকি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, তাদের চাহিদামাফিক বই সরবরাহ করা হয়নি। ফলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বাজার থেকে বই কিনতে হয়েছে।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান