ঢাকা, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

বিশ্বে জন্মহার কমছে, জনসংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাসের পথে

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৩ ১৩:০৭:৩৪

বিশ্বে জন্মহার কমছে, জনসংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাসের পথে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধীরে ধীরে কমছে, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও জন্মহার এখন স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনীয় সীমার নিচে নেমে এসেছে। যদিও এই প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বর্তমানে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এমন দেশে বসবাস করছে, যেখানে নারীরা গড়ে ২.১ বা তার নিচে সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। এ হারকে বলা হয় প্রতিস্থাপন হার, যা একটি দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন।

জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৮৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ১০.৩ বিলিয়নে পৌঁছাবে। তবে কিছু গবেষক মনে করছেন, এই হিসাব অতিরিক্ত আশাবাদী হতে পারে। যদি বর্তমান জন্মহার অব্যাহত থাকে, তবে ২০৬৫ সালে জনসংখ্যা ৯.৬ বিলিয়নে পৌঁছাবে এবং তার পর কমতে শুরু করবে।

কম জনসংখ্যা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। কর্মী ও উদ্ভাবকের সংখ্যা কমে গেলে ছোট শহরগুলোতে স্কুল ও সেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে। বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেলে সরকারি ঋণের বোঝা কম জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনীতিকরা জন্মহার বাড়াতে অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে ফার্টিলাইজেশন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি অনুদান দিয়ে জন্মহার বাড়ানো প্রায়শই কার্যকর হয় না। হাঙ্গেরির মতো দেশ অনেক ব্যয় করেও লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

এদিকে আশার খবর হলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতি মানবশক্তির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। মানুষ আগের তুলনায় দীর্ঘ সময় সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকবে।

নারী ও শিশুদের শিক্ষা ও পুষ্টি উন্নত করলে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ধরে রাখা সম্ভব। জাপান বহু বছর ধরে জনসংখ্যা হ্রাসের মধ্যেও জীবনমান ধরে রেখেছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা অঞ্চলের ভিত্তিতে পরিবর্তন হবে—চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় কমবে, আফ্রিকায় বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি স্বাভাবিক পরিবর্তন, এবং মানুষ ভবিষ্যতেও এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে।

এমজে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত