ঢাকা, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ: চার বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৩ ১১:৪২:৩৮

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ: চার বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বিচার বিভাগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগে গত এক বছরে ১২ জন হাইকোর্ট বিচারপতিকে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়। এর মধ্যে কয়েকজন অবসর, পদত্যাগ ও অপসারণের মধ্য দিয়ে সরে গেছেন। তবে এখনও চার বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিচার বিভাগের শুদ্ধি অভিযানের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। ১৬ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে তারা আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন এবং ‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি করেন। একই সময় বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজও বিক্ষোভে অংশ নেয়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে সেদিন বিকেলে ছাত্রদের সামনে বক্তব্য দেন তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা (বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারপতি)। তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার ছাড়া বিচারপতিদের অপসারণ সম্ভব নয়। তবে আপাতত ১২ জন বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হয়নি, অর্থাৎ তারা বিচারকার্যে অংশ নিতে পারবেন না।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহালের পর পুনরুজ্জীবিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল অভিযোগ যাচাই-বাছাই শুরু করে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত এই কাউন্সিলে রয়েছেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। তারা তদন্ত শেষে অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান।

পরবর্তীতে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের অতিরিক্ত মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অব্যাহতি পান। বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস অবসরে যান। পাশাপাশি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্তের ভিত্তিতে বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে রাষ্ট্রপতি অপসারণ করেন। সর্বশেষ বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান গত ৩১ আগস্ট পদত্যাগ করেন, যা ৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন।

ফলে বর্তমানে চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল।

এমজে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত