ঢাকা, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২
মেধাবীদের বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে উদ্যোগ নেবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক গণিত ও জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী ছয় শিক্ষার্থী সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাদের অভিজ্ঞতা শোনেন এবং সমস্যা সম্পর্কে জানতে চান।
পদকজয়ী শিক্ষার্থীরা হলেন, ৩৬তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০২৫ এ ব্রোঞ্জপদক বিজয়ী সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরিজ আনাস, নটর ডেম কলেজের হা-মিম রহমান ও মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল শিক্ষার্থী ফারাবিদ বিন ফয়সাল। এবং ৬৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৫ এ ব্রোঞ্জপদক বিজয়ী চট্টগ্রাম বাকলিয়া সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী জিতেন্দ্র বড়ুয়া, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থী জাওয়াদ হামীম চৌধুরী, ময়মনসিংহ জেলা স্কুল শিক্ষার্থী তাহসিন খান।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ ও সাধারণ সম্পাদক এ এ মুনির হাসান, বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তারিখ আরাফাত।
প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের কথা শুনে খুবই আনন্দিত হলাম। তোমরা নিজেরা আগ্রহী হয়ে এতদূর এগিয়েছো। তোমাদের উৎসাহ ও আগ্রহ থেকে আমরাও অনুপ্রাণিত হলাম। তিনি অলিম্পিয়াড কমিটির কাছে তাদের অভিজ্ঞতা ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান।
শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার জানান, ১১১টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী ম্যাথ অলিম্পিয়াডে গোল্ড অর্জন করেছে, যা অত্যন্ত গর্বের। তিনি বলেন, এসব অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা একটি বড় নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়, যা তাদের আরও উৎসাহী করে তোলে এবং অনেকেই শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার সুযোগ পান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার উল্লেখ করেন যে, অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আর্থিক অবস্থার কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে না। তিনি স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন, যারা পরীক্ষার খাতা দেখা, প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করা এবং আয়োজক হিসেবে কাজ করেন।
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ জানান, এ বছর প্রথম রাউন্ডে সারাদেশ থেকে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয় এবং ধাপে ধাপে বাছাইয়ের পর ছয়জনকে আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়াডে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, রেজিস্ট্রেশন ফি, থাকা-খাওয়াসহ সব খরচ নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই জোগাড় করতে হয় এবং একটি বেসরকারি ব্যাংকের সহযোগিতা যথেষ্ট নয়। একই কথা জানান বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার, যিনি বলেন যে, তাদেরও স্বেচ্ছাসেবকরা চাঁদা তুলেই সব ব্যয় বহন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা তাদের স্বেচ্ছামূলক উদ্যোগকে "খুবই ইতিবাচক ঘটনা" হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, "মেধাবীদের বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে এবং আরও উৎসাহিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের সহযোগিতা করা যায় সেসব খতিয়ে দেখা হবে।"
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প