ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
ভারতে ৬৪৩ মন্ত্রীর অর্ধেকই ফৌজদারি মামলার আসামি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বড় অংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি অভিযোগ। নির্বাচনী নজরদারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মোট ৬৪৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের (৪৭ শতাংশ) বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ ও নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগসহ ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
এডিআর’র তথ্য অনুযায়ী, এই ৩০২ জন অভিযুক্ত মন্ত্রীর মধ্যে ১৭৪ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে। শুধু বিজেপির ক্ষেত্রেই দেখা গেছে—৩৩৬ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১৩৬ জন (৪০ শতাংশ) ফৌজদারি মামলার আসামি এবং ৮৮ জন (২৬ শতাংশ) গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত।
কংগ্রেস শাসিত চার রাজ্যের ৪৫ জন মন্ত্রীর ৭৪ শতাংশের বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ১৮ জন গুরুতর অপরাধে জড়িত। ডিএমকের অবস্থা আরও শঙ্কাজনক—৩১ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২৭ জনের (৮৭ শতাংশ) বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যাদের ১৪ জন গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১৩ জনের (৩৩ শতাংশ) বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং আপ’র ১৬ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১১ জন (৬৯ শতাংশ) ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি। তবে তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) তালিকার শীর্ষে—তাদের ২৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২২ জন (৯৬ শতাংশ) আসামি, আর ১৩ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
জাতীয় পর্যায়ে ৭২ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মধ্যে ২৯ জন (৪০ শতাংশ) ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। আর রাজ্যভিত্তিক হিসাবে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, ওড়িশা, মহারাষ্ট্রসহ অন্তত ১১ রাজ্যে ৬০ শতাংশের বেশি মন্ত্রী আইনি মামলার মুখোমুখি। তবে হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড ও উত্তরাখণ্ডের কোনো মন্ত্রীর নামে মামলা পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার একটি নতুন বিল উত্থাপন করেছে, যেখানে বলা হয়েছে—যে কোনো মন্ত্রী টানা ৩০ দিন আটক থাকলে এবং তার অপরাধে পাঁচ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হতে পারে, তবে তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে হবে। এর কয়েক দিনের মাথায় এডিআর’র প্রতিবেদন প্রকাশ পায়।
প্রতিবেদনটি শুধু অপরাধ নয়, মন্ত্রীদের সম্পদ সম্পর্কেও চিত্র তুলে ধরেছে। ৬৪৩ জন মন্ত্রীর সম্মিলিত সম্পদ প্রায় ২৩ হাজার ৯২৯ কোটি রুপি, অর্থাৎ গড়ে প্রতি মন্ত্রীর সম্পদ ৩৭.২১ কোটি রুপি।
সবচেয়ে ধনী মন্ত্রী হলেন টিডিপির ড. চন্দ্র শেখর পেম্মাসানি, যিনি ৫,৭০৫ কোটি রুপির মালিক। এরপর কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমারের সম্পদ ১,৪১৩ কোটি রুপি এবং টিডিপি প্রধান এন. চন্দ্রবাবু নাইডুর সম্পদ ৯৩১ কোটি রুপি। বিপরীতে, অনেক মন্ত্রীর সম্পদ একেবারেই সীমিত—ত্রিপুরার শুক্লচরণ নোয়াতিয়া মাত্র ২ লাখ রুপি এবং পশ্চিমবঙ্গের বীরবাহা হাঁসদার সম্পদ সাড়ে ৩ লাখ রুপির সামান্য বেশি।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার