ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
রূপপুর বালিশকাণ্ড: গণপূর্তের দুই কর্মকর্তাকে শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কঠোর শৃঙ্খলাজনিত ব্যবস্থা নিয়েছে। পাবনার রূপপুর গ্রীণসিটি প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন উদ্দিনকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর’ এবং মো. আলমগীর হোসেনকে ‘নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিত’ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে নির্মাণাধীন রূপপুর গ্রীণসিটি প্রকল্পের আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর গণপূর্ত অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে এই খাতে প্রমাণিত অনিয়মের অনুসন্ধান করে।
তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দুই কর্মকর্তা সরাসরি অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রস্তুতে জড়িত ছিলেন এবং দায়িত্ব পালনেও অবহেলা করেছেন। সরকারের কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ প্রমাণিত হওয়ায় মো. শাহীন উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং মো. আলমগীর হোসেনকে নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এসব ব্যবস্থা নিতে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশের মাধ্যমে গুরুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ওই প্রকল্পের ১৬৯ কোটি টাকার কেনাকাটায় পদে পদে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছিল। কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকার নিচের ক্রয়কাজ স্থানীয় অনুমোদনেই সম্পন্ন হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১৬৯ কোটি টাকার কাজ ৬টি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছিল।
তদন্তে দেখা গেছে, প্রতিটি বালিশের জন্য খরচ দেখানো হয়েছিল ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং খাটে তোলার মজুরি ৭৬০ টাকা। কমফোর্টার কভার ১৬ হাজার ৮০০ টাকায় কেনা হয়েছিল, অথচ বাজারমূল্য মাত্র ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১৩,৫০০ টাকা। বিদেশি বিছানার চাদরের ক্ষেত্রেও একই ধরনের অস্বাভাবিক ব্যয় দেখানো হয়েছে।
৫টি ২০ তলা ভবনের জন্য এসব কেনাকাটা করা হয়েছিল। প্রতিটি ফ্ল্যাটে কমফোর্টার পৌঁছে দিতে আলাদা ট্রাক ব্যবহার এবং তত্ত্বাবধানের খরচ দেখানো হয় অতিরিক্ত। প্রতিটি কমফোর্টারের জন্য খরচ ২২,৫৮৭ টাকা এবং প্রতিটি চাদরের ক্ষেত্রেও একইভাবে অস্বাভাবিক ব্যয় হিসাব করা হয়েছে।
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার