ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

ট্রাইব্যুনালে আবু সাইদের বাবা: ‘বিচার দেখে মরতে চাই’

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ আগস্ট ২৮ ১৪:২৬:৩৭
ট্রাইব্যুনালে আবু সাইদের বাবা: ‘বিচার দেখে মরতে চাই’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাইদের বুকে অসংখ্য গুলির চিহ্ন ছিল—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এমন তথ্য দিয়েছেন মামলার প্রথম সাক্ষী, তার বাবা মকবুল হোসেন (৮৫)। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এ আলোচিত এই হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আবু সাইদের বাবা বলেন, জীবিত থাকা অবস্থায় ছেলের চাকরি করতে দেখা তার ইচ্ছা ছিল। তবে এখন তিনি ছেলের হত্যার বিচার দেখে যেতে চান।

সাক্ষ্যে তিনি জানান, যেদিন আবু সাইদকে হত্যা করা হয়, সেদিন দুপুরে জমি থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে তিনি সবাইকে কাঁদতে দেখেন। পরে জানতে পারেন, আবু সাইদ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং মারা গেছেন। এরপর পরিবারের সদস্যদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে জানা যায়, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। গভীর রাতে লাশ বাড়িতে পৌঁছায়। পরদিন সকাল ১৭ জুলাই দুটি জানাজার পর লাশ দাফন করা হয়। এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাফনের জন্য চাপও দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

এর আগে, বুধবার মামলার সূচনা বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এতে তিনি আবু সাইদ হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট ও আসামিদের ভূমিকা তুলে ধরেন।

৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল বেরোবির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

আজ সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে মামলার ৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তবে ২৪ জন আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২৮ জুলাই প্রসিকিউশন পক্ষ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করে। ৩০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়। এর আগে ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত