ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি, ইসির রোডম্যাপ চূড়ান্ত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন সংক্রান্ত এ রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ১৮ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। সম্ভাব্য ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। এ অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রায় ৫৭ দিন সময় পাবে ইসি। প্রবাসী ভোটারদের সুযোগ নিশ্চিত করতে এই সময়সীমায় অতিরিক্ত ১০ দিন যুক্ত করা হয়েছে।
রোডম্যাপ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ২৪টি কার্যক্রম ২০৭টি ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধাপগুলো হলো—ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, নির্বাচনি আইন ও বিধি সংস্কার, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, আসনসীমা পুনর্নির্ধারণ, নির্বাচনি সরঞ্জাম প্রস্তুতকরণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও প্রচার-প্রচারণা।
আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৮ শ্রেণির অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ চালাবে নির্বাচন কমিশন। অংশীজনের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, সুশীল সমাজ, নারী ও সংখ্যালঘু প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধি।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ২১টি ধাপে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত করা হবে। ২০০৭ সালের ৩১ অক্টোবর বা তার আগে যাদের জন্ম, তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তফসিল ঘোষণার অন্তত তিন দিন আগে ৩০০ সংসদীয় আসনভিত্তিক চূড়ান্ত তালিকা রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে।
নির্বাচনি আইন-বিধি সংশোধনের জন্য ৩১ আগস্টের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের পরিকল্পনা রয়েছে এবং এটি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণবিধি এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালাও একই সময়ে চূড়ান্ত করার লক্ষ্য রয়েছে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কার্যক্রম ১২ ধাপে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করা হবে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রণয়ন করা হবে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, নির্বাচনি মালামাল প্রস্তুত ও বিতরণ, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রস্তুতকরণ এবং পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা গ্রহণের কাজগুলোও ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে। বিশেষ করে, ব্যালট পেপার প্রস্তুত করে প্রবাসী ভোটারদের কাছে পাঠানো হবে ৫ জানুয়ারির মধ্যে এবং ভোট নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ শেষ হবে এবং ৫ অক্টোবরের মধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা সংরক্ষণ করা হবে। চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করা হবে ভোটগ্রহণের অন্তত ২৫ দিন আগে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে প্রথম সভা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। তফসিল ঘোষণার আগেই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, নির্বাচনি সফটওয়্যার প্রস্তুত রাখা হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে, এবং পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়জুড়ে এআই )সহায়তা ও ডিজিটাল নজরদারি কার্যক্রম চালু থাকবে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক দলের প্রচার শুরু হবে, যা বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচারিত হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর রিটার্নিং অফিসারদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন আসনে প্রার্থীরা একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজেদের ইশতেহার উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন।
সর্বশেষ, কারাবন্দি ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হবে ভোটের দুই সপ্তাহ আগে। সব প্রস্তুতি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত