ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২

ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ফের আবেদন চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ডুয়া নিউজ- অর্থনীতি
২০২৫ আগস্ট ২৬ ১৬:২৮:১৩
ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ফের আবেদন চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আবারও আবেদন চেয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়া যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, উপযুক্ত প্রস্তাবের বিপরীতে তারা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যোগ্য এবং আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে নতুন করে সিলগালা করা আবেদন চাওয়া হচ্ছে।

আবেদনের সঙ্গে প্রক্রিয়া ফি বাবদ ৫ লাখ টাকার একটি অফেরতযোগ্য পে-অর্ডার জমা দিতে হবে, যা যেকোনো তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে ইস্যু করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হলে আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।

ডিজিটাল ব্যাংক কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বাংলাদেশ ব্যাংক বৈশ্বিক আর্থিক বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, যা ক্রমাগত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে চালিত হচ্ছে। দেশব্যাপী ক্যাশলেস লেনদেন এবং ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবাগুলোকে ত্বরান্বিত করতে ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য নীতিমালা অনুমোদন করে।

নীতিমালা অনুযায়ী, একটি শাখাবিহীন, সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল ব্যাংকিং ব্যবস্থা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছেও আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।

আবেদনের শর্ত ও পূর্ববর্তী উদ্যোগ

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য পরিশোধিত মূলধনের প্রয়োজনীয়তা ১২৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন সরবরাহ করতে হবে। লাইসেন্স পাওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে ব্যাংকটিকে অবশ্যই প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) চালু করতে হবে। এই আইপিও’র পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে কম হতে পারবে না।

আগে, এই নির্দেশনার অধীনে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক এবং করি ডিজিটাল ব্যাংককে প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই উদ্যোগ স্থগিত করা হয়।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত