ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২
ব্যাংকে আস্থাহীনতা, বেড়েছে টাকা তোলার প্রবণতা

মানুষের হাতে অর্থাৎ ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে, চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুনে মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ২ হাজার ৬৭৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। জুন শেষে ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা।
এর আগে এপ্রিলে নগদ অর্থ কমলেও মে মাসে তা আবার বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। ওই মাসে ব্যাংকের বাইরে থাকা অর্থ বাড়ে ১৬ হাজার ৪১১ কোটি ৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ মে থেকে জুন টানা দুই মাস মানুষের হাতে নগদ অর্থ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
কেন্দ্রিয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থ ধারাবাহিকভাবে কমেছিল। ২০২৩ সালের আগস্টে হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকায়। পরবর্তী মাসগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত থাকে অক্টোবরে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি, নভেম্বরে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৬ কোটি, ডিসেম্বরে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭১ কোটি, জানুয়ারিতে ২ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ কোটি এবং ফেব্রুয়ারিতে নেমে আসে ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকায়।
তবে চলতি বছরের মার্চে পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়ায়। এ মাসে মানুষের হাতে নগদ অর্থ বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩১ কোটি টাকায়। এপ্রিল শেষে কিছুটা কমলেও মে ও জুনে আবার তা বৃদ্ধি পায়।
একই সঙ্গে বাজারে মুদ্রা সরবরাহও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে ব্যাংক খাতে মুদ্রার স্থিতি (রিজার্ভ মানি) ছিল ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার ১৭৯ কোটি টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে ১৪ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থ ক্রমান্বয়ে কমেছিল। তবে নভেম্বরে থেকে আবার বাড়তে শুরু করে এবং টানা ১০ মাসে বেড়ে গত বছরের আগস্টে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকায়।
খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, মানুষের হাতে নগদ অর্থ বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি। খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে হাতে রাখছেন। পাশাপাশি ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাহীনতাও এই প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৮ কোম্পানি
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর
- ১০ কোম্পানির কারণে ৩ মাস পেছনে গেল শেয়ারবাজার