ঢাকা, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২

দাড়ি রাখায় তিন পুলিশ সদস্যকে শাস্তি

২০২৫ আগস্ট ২৫ ১৩:২০:৩৫

দাড়ি রাখায় তিন পুলিশ সদস্যকে শাস্তি

অনুমতি ছাড়া দাড়ি রাখার অভিযোগে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের তিন কনস্টেবলকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। শাস্তির আদেশের চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। তবে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট তিন পুলিশ সদস্যকে দাড়ি রাখার আনুষ্ঠানিক অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

২১ আগস্ট জারি হওয়া আদেশে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সদর কোর্টের কনস্টেবল দুলাল মিয়া, অপরাধ শাখার কনস্টেবল হৃদয় আহমেদ এবং মোটরযান শাখার কনস্টেবল ইফতেখার হোসেন সুমন।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এ.এন.এম সাজেদুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে উল্লেখ করা হয়, তারা ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী দাড়ি রাখার অনুমতির আবেদন করলেও, অনুমোদনের আগেই দাড়ি রাখা শুরু করেন। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার সময় তাদের মুখে দাড়ি দেখা যায়। এ কারণে নিয়ম ভঙ্গের দায়ে তাদের প্রত্যেককে দুই দিনের জন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে প্যারেড ড্রিল (পিডি) করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদেশে আরও বলা হয়, হবিগঞ্জ পুলিশ লাইন্সের ভারপ্রাপ্ত আরআই-কে শাস্তি কার্যকর করে প্রতিবেদন দাখিল করতে এবং সংশ্লিষ্ট শাখার ইনচার্জদের মাধ্যমে ছাড়পত্র প্রদানের নির্দেশও দেওয়া হয়।

তবে পরদিন ২২ আগস্ট, একই পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত আরেকটি আদেশে তিন পুলিশ সদস্যের দাড়ি রাখার আবেদন অনুমোদন করা হয়। এতে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দাড়ি রাখার অনুমতি পান।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান জানান, পুলিশ বাহিনীতে দাড়ি রাখার অনুমতির একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। কেউ নিয়ম না মেনে দাড়ি রাখলে তা পরিচ্ছন্নতা ও পেশাদারিত্বে প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, “অনেক সময় কেউ দাড়ি রাখলেও তা গোছানো থাকে না, গোঁফ কাটা হয় না, ফলে বাহিনীর শৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ হয়। তাই নিয়ম মেনেই অনুমতি নিতে হয়।”

ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ কেউ ধর্মীয় রীতি পালনের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আবার কেউ শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে নিয়ম মানার গুরুত্বের পক্ষে মত দেন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত