ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২
ফার্মা খাতে ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৫ কোম্পানির

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঔষধ এবং রসায়ন খাতের ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) নয় মাসে কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৫টি কোম্পানির এবং কমেছে ১৪টির। ৫টি কোম্পানি ক্যাশ ফ্লো প্রকাশ করেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ক্যাশ ফ্লো বৃদ্ধি পাওয়া ১৫ কোম্পানির তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো-
এসিআই লিমিটেড: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা ১১ পয়সায়। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৫১ টাকা ০৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩২ টাকা ০৮ পয়সা।
একমি ল্যাবরেটরিজ: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৫ টাকা ৭৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২ টাকা ০২ পয়সা।
একমি পেস্টিসাইডস: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ০৫ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ০১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ০৪ পয়সা।
সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ০১ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ০০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ০১ পয়সা।
ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা।
দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ১৬ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৫ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১০ টাকা ৬৬ পয়সা।
কোহিনূর কেমিক্যাল: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২০ টাকা ৬২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৪ টাকা ৩৫ পয়সা।
লিবরা ইনফিউশন: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৪ টাকা ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৪ টাকা ৯৪ পয়সা।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৮ টাকা ৬৩ পয়সা।
ওরিয়ন ফার্মা: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ০৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২ টাকা ১৮ পয়সা।
রেনাটা পিএলসি: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২০ টাকা ৪৫ পয়সা।
স্যালভো রাসায়নিক: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১১ পয়সা।
সিলকো ফার্মাসিউটিক্যাল: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭১ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৬৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩ পয়সা।
সিলভা ফার্মাসিউটিক্যাল: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৬ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২ পয়সা।
ওয়াটা কেমিক্যাল: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৬১ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৬ টাকা ১২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১১ টাকা ৪৯ পয়সা।
কোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) বেশি থাকলে সেটি কোম্পানির আর্থিক শক্তিমত্তার প্রতিফলন। পর্যাপ্ত ক্যাশ ফ্লো থাকলে প্রতিষ্ঠান সহজেই দৈনন্দিন খরচ মেটাতে পারে, নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে এবং সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। এছাড়া নগদ প্রবাহ শক্তিশালী হলে কোম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নিয়মিত ও আকর্ষণীয় ডিভিডেন্ড ঘোষণার সম্ভাবনাও বাড়ে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও সুদৃঢ় করে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ