ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় এখনো বাংলাদেশ

ডুয়া নিউজ- অর্থনীতি
২০২৫ আগস্ট ১৪ ০৬:৩১:১৬
বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় এখনো বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এখনো বিশ্বব্যাংকের খাদ্য মূল্যস্ফীতির ‘লাল তালিকা’ থেকে বের হতে পারেনি। ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত একটানা মাসে ৫ শতাংশের বেশি খাদ্য মূল্যস্ফীতি থাকায় এই অবস্থান অব্যাহত রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের খাদ্যদ্রব্যের দাম মাসিক ৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলে সেটি লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালের মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৪.৮৭ শতাংশে নেমেছিল, যা ছিল গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হার। এরপর থেকে প্রতিমাসেই এ হার ৫ শতাংশের বেশি রয়েছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই সময়ে খাদ্যপণ্যের দাম সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৪.১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চাল, ডাল, সবজি, ডিম ও মুরগির দাম আবারও বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি কোনো দেশের মুদ্রার স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এবং বিদেশি বিনিয়োগ কমিয়ে দেয়। বিনিয়োগকারীরা সাধারণত মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতা বিবেচনায় রেখে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন।

অতীতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—২০০৮-০৯ অর্থবছরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল মাত্র ০.২৫ শতাংশ, যা সবুজ তালিকায় ছিল। ২০১১-১২ অর্থবছরে ২.৫৭ শতাংশ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪.২৩ শতাংশ ছিল, যা হলুদ তালিকায়। তবে অধিকাংশ সময়ই হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকায় বাংলাদেশ লাল তালিকায় রয়েছে।

২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বৈশ্বিক খাদ্যদ্রব্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। এর প্রভাবে ওই বছরের মে মাসে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৮.৩০ শতাংশে। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে তা ১৪.১০ শতাংশে পৌঁছে যায়, যা ২০০৭-০৮ সালের রেকর্ডের সমান।

বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার টাকা ছাপানো বন্ধ, ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৭.৫৬ শতাংশে নেমেছে। তবে মূল্যস্ফীতি কমলেও এখনো বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকার সীমার নিচে আসেনি।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত