ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
বাড়তি শুল্কের চাপ পড়বে মার্কিন ক্রেতাদের ওপর: বিজিএমইএ সভাপতি

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে তৈরি পোশাক খাতে চলমান অনিশ্চয়তা কিছুটা কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে খাতটিতে।
মাহমুদ হাসান স্পষ্ট করে বলেন, এই বাড়তি শুল্ক রপ্তানিকারকদের নয় বরং আমদানিকারক ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকেই বহন করতে হবে। তার ভাষায়, "শুরু থেকেই আমরা বলে আসছি প্রতিযোগী দেশের তুলনায় বেশি শুল্ক আরোপ করা হলে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।"
তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের শুল্ক হার ১ শতাংশ বেশি হলেও ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ এবং চীনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। যা বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিক।
তবে সাময়িকভাবে এই বাড়তি শুল্কের কারণে ব্যবসায় কিছুটা ধাক্কা লাগতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি। তার মতে, আমদানিকারকদের মূলধনে অতিরিক্ত চাপ পড়বে। ফলে অর্ডার কমে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই খরচ মার্কিন ভোক্তাদের উপর গিয়ে পড়বে যার প্রভাবে বাজারে পণ্যের দাম বাড়তে পারে এবং বিক্রি কমে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। সেই সময় কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান নিজেরা এই খরচ বহন করলেও অনেকে সরবরাহকারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল।
বিজিএমইএ থেকে তাই এবার স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের বাড়তি শুল্ক সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এগুলো আমদানিকারক ও মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকেই বহন করতে হবে।
চীনের প্রসঙ্গে মাহমুদ হাসান জানান, দেশটির পণ্যের উপর এখনো ৩০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক রয়েছে এবং তা শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে না। ফলে চীনের অর্ডার অন্য দেশে সরতে পারে যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে।
তবে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিশেষ করে জ্বালানি সরবরাহ, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন।
সর্বশেষে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনার সময় বাংলাদেশ যে প্রতিশ্রুতি ও চুক্তিগুলো করেছে যেমন মনগম, তুলা, এলএনজি বা উড়োজাহাজ কেনার মতো স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ। সেগুলো বাস্তবায়নে গাফিলতি হলে ভবিষ্যতে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে রক্ষা করাই এখন জরুরি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- শেয়ারবাজারে চলছে বহুজাতিক কোম্পানির ডিভিডেন্ড উৎসব
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- স্টক ডিভিডেন্ড পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি