ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২
বাড়তি শুল্কের চাপ পড়বে মার্কিন ক্রেতাদের ওপর: বিজিএমইএ সভাপতি

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে তৈরি পোশাক খাতে চলমান অনিশ্চয়তা কিছুটা কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে খাতটিতে।
মাহমুদ হাসান স্পষ্ট করে বলেন, এই বাড়তি শুল্ক রপ্তানিকারকদের নয় বরং আমদানিকারক ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকেই বহন করতে হবে। তার ভাষায়, "শুরু থেকেই আমরা বলে আসছি প্রতিযোগী দেশের তুলনায় বেশি শুল্ক আরোপ করা হলে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।"
তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের শুল্ক হার ১ শতাংশ বেশি হলেও ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ এবং চীনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। যা বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিক।
তবে সাময়িকভাবে এই বাড়তি শুল্কের কারণে ব্যবসায় কিছুটা ধাক্কা লাগতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি। তার মতে, আমদানিকারকদের মূলধনে অতিরিক্ত চাপ পড়বে। ফলে অর্ডার কমে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই খরচ মার্কিন ভোক্তাদের উপর গিয়ে পড়বে যার প্রভাবে বাজারে পণ্যের দাম বাড়তে পারে এবং বিক্রি কমে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। সেই সময় কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান নিজেরা এই খরচ বহন করলেও অনেকে সরবরাহকারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল।
বিজিএমইএ থেকে তাই এবার স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের বাড়তি শুল্ক সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এগুলো আমদানিকারক ও মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকেই বহন করতে হবে।
চীনের প্রসঙ্গে মাহমুদ হাসান জানান, দেশটির পণ্যের উপর এখনো ৩০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক রয়েছে এবং তা শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে না। ফলে চীনের অর্ডার অন্য দেশে সরতে পারে যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে।
তবে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিশেষ করে জ্বালানি সরবরাহ, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন।
সর্বশেষে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনার সময় বাংলাদেশ যে প্রতিশ্রুতি ও চুক্তিগুলো করেছে যেমন মনগম, তুলা, এলএনজি বা উড়োজাহাজ কেনার মতো স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ। সেগুলো বাস্তবায়নে গাফিলতি হলে ভবিষ্যতে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে রক্ষা করাই এখন জরুরি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এডিএন টেলিকমের নতুন পদক্ষেপ