ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২
ট্রাম্পের নিশানায় ভারত, ২৫% শুল্কের ইঙ্গিত
.jpg)
ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২০ থেকে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ১ আগস্ট থেকে বিভিন্ন দেশের ওপর ‘পারস্পরিক’ শুল্ক কার্যকর করার কথা রয়েছে। অনেক দেশ ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করে এই শুল্ক এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ভারত ও আমেরিকার মধ্যে কোনো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় পণ্যের উপর সম্ভাব্য শুল্ক আরোপের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, ট্রাম্প বলেন, "আমারও তাই মনে হয়।"
ট্রাম্প ভারতকে "ভালো বন্ধু" হিসেবে উল্লেখ করলেও, তিনি মনে করেন যে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত মার্কিন পণ্যের ওপর বেশি শুল্ক আরোপ করে থাকে। এই কারণেই তিনি ভারতের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা ভাবছেন। ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প বলেছেন, "ভারত আমাদের ভালো বন্ধু, কিন্তু তারা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করছে। বন্ধু হয়ে তুমি এটা করতে পারো না।"
ওয়াশিংটন ডিসিতে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান যে, মার্কিন প্রশাসন ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চায়।দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। ওয়াশিংটন মার্কিন পণ্যের জন্য ভারতীয় বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চাইছে। অন্যদিকে, নয়াদিল্লি দাবি করছে যে ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক ১৫ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। এছাড়াও, ভারত মার্কিন অস্ত্র, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পারমাণবিক চুল্লি কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আলোচনার বর্তমান অবস্থা
ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে। যদিও ১ আগস্টের সময়সীমার আগে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে হচ্ছে। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার জানিয়েছেন যে, ভারতের সঙ্গে একটি কার্যকর বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য আরও আলোচনার প্রয়োজন।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে এবং আগস্টের মাঝামাঝি একটি মার্কিন প্রতিনিধি দলের দিল্লি সফরের কথা রয়েছে। তাদের আশা, একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে ২০-২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
দুই দেশের মধ্যে আলোচনার প্রধান বাধা হলো কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্মুক্ত করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৃষি, দুগ্ধজাত এবং জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (জিএম) পণ্যের জন্য ভারতীয় বাজারে আরও বেশি প্রবেশাধিকার চায়। ভারত এই বিষয়ে ছাড় দিতে নারাজ, কারণ এটি দেশের কৃষকদের স্বার্থের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, ভারত ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং অটোমোবাইল খাতে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে।
২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১২৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ভারতের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার। ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওষুধ, মোবাইল ফোন এবং পোশাক।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান