ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

এই সপ্তাহে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারেন স্টারমার: টাইমস

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুলাই ২৯ ১৫:০৪:১৬
এই সপ্তাহে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারেন স্টারমার: টাইমস

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার চলতি সপ্তাহে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির ভেতরে জোড়ালো চাপের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন স্টারমার।

সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবার পার্টির অন্তত সাতজন মন্ত্রিসভার সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে। যদিও নির্বাচনী ইশতেহারে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত ছিল না, লেবার পার্টি গত বছরের জুলাই মাসে সাধারণ নির্বাচনে জয় লাভ করে ক্ষমতায় ফিরেছেন এই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই।

এছাড়াও লেবার পার্টির প্রায় ১৩০ জন ব্যাকবেঞ্চ এমপি—সংসদীয় দলের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ—ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিন স্বীকৃতি বিষয়ে জাতিসংঘের উদ্যোগে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২৮ ও ২৯ জুলাই নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনটির সহ-সভাপতিত্বে থাকছে ফ্রান্স ও সৌদি আরব।

এই সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের ২২০ জনের বেশি এমপি—যাদের মধ্যে লেবার পার্টির পাশাপাশি কনজারভেটিভ, লিবারেল ডেমোক্র্যাট, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ও প্লাইড কামরিস দলের সদস্যরাও রয়েছেন—প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে একটি যৌথ চিঠি দিয়েছেন। যাতে বলা হয়েছে, “আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি, নিউ ইয়র্ক সম্মেলনের সুযোগে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করুন।”

চিঠিতে ব্রিটেনের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, “১৯১৭ সালের বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা ছিল; এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়াও আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।”

প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র দ্য টাইমসকে জানান, কিয়ার স্টারমার এই মুহূর্তে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে একটি পরিকল্পনা ভাগাভাগি করছেন, যা দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ফিলিস্তিনিদের নিজেদের রাষ্ট্র গঠনের অধিকারকে সম্মান জানিয়ে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

স্টারমারের এমন পদক্ষেপকে লেবার সরকারের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলীয় অভ্যন্তরে এবং সংসদীয় রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমান চাপ, আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত এবং জাতিসংঘের চলমান উদ্যোগ—সব মিলিয়ে এই সিদ্ধান্তের তাৎপর্য আরও বেড়ে গেছে।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটবে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সেই সঙ্গে এটি হতে পারে একটি স্পষ্ট বার্তা—ব্রিটেন শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি দায়িত্বশীল ও সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত