ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
নতুন দিগন্তের সূচনা: প্রথমবারের মতো হাইকোর্টে বিচারপতি নিয়োগে ভাইভা
.jpg)
দেশের উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। ইতিহাসে এই প্রথম হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নিয়োগে মনোনীত আইনজীবীদের মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) নেওয়া হয়েছে। বহুদিন ধরে বিতর্কিত ও তদবিরনির্ভর পদ্ধতির পরিবর্তে এবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এসেছে কাঙ্ক্ষিত স্বচ্ছতা ও কাঠামোগত পরিবর্তন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা ভাইভা পর্বে অংশ নেন চূড়ান্তভাবে মনোনীত ৫৩ জন আইনজীবী। তাদের ভাইভা গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল।
এর আগে বিচারপতি নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব ও ব্যক্তিগত সুপারিশ ছিল নিয়মিত চর্চা। এবারই প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন আহ্বান করা হয়। গত ২৮ মে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে ৩০০-এর বেশি আবেদন জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে ৫৩ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে কাউন্সিল।
বিচারপতি নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫’ অনুযায়ী গঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে। ২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি গঠিত এই কাউন্সিল এবারই প্রথমবারের মতো বিচারপতি পদের জন্য ভাইভা নিয়েছে।
এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে থাকেন প্রধান বিচারপতি, যিনি চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন। সাত সদস্যবিশিষ্ট এ কাউন্সিলের পাঁচজন পদাধিকারবলে সদস্য। তারা হলেন, প্রধান বিচারপতি (চেয়ারপারসন), আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি (যিনি বিচারকর্ম বিভাগ থেকে নিযুক্ত নন), বিচারকর্ম বিভাগ থেকে নিযুক্ত হাইকোর্ট বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এবং বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল।
অবশিষ্ট দুইজন সদস্য হলেন, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তারিক উল হাকিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগে কাঠামোগত সংস্কারের রূপরেখা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তখনই তিনি উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে নতুন আইন ও পদ্ধতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সুপ্রিম কোর্ট প্রণীত খসড়া পর্যালোচনা শেষে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় এবং পরে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রণয়ন হয় ২০২৫ সালের ‘বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ’।
যদিও এটি ছিল গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে এর আগে আপিল বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. আছাদুজ্জামানকেও এই কাউন্সিলের সুপারিশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল শেয়ারবাজারের খেতাব পেল বাংলাদেশ!
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- শেয়ারবাজারে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার নতুন তদন্তে বিএসইসি
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান,ফ্রিতে দেখবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- মার্জারের দুই ব্যাংকে ফেঁসে গেল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর
- পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: নোমান আলীর শিকার মার্করাম