ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার নিন্দা ৪৬ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুলাই ১৭ ১৯:৩৫:০৫
গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার নিন্দা ৪৬ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ জন শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ প্রতিবাদ জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে স্বাক্ষর করেন।

বিবৃতিতে এই হামলা জুলাই বিপ্লবের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, ২০২৪ সালের ৩৬ এ জুলাই বিপ্লব পরবর্তী জন্ম নেয়া রাজনৈতিক প্লাটফর্ম জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সারাদেশব্যাপী পূর্ব ঘোষিত দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে বুধবার যখন দলের নেতাকর্মীরা গোপালগঞ্জ পৌছে, সেখানে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কর্তৃক হামলার ঘটনায় আমরা (বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ জন) শিক্ষক প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। আমরা মনে করি এই বর্বরতা শুধুমাত্র রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা নয় বরং জুলাই বিপ্লবের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটানো কাণ্ড। গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ সদস্যদের আহত করা অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য অশনীসংকেত।

'আমরা মনে করি, এই হামলা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাকস্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত। এমন ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, এনসিপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সময় নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সারা দেশ থেকে তাদের সন্ত্রাসীদের গোপালগঞ্জে জড়ো করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগসমূহ কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে নাই।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাশাপাশি দিনে দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের সামনে বোমা হামলাসহ নানান অস্ত্র সস্ত্র বহনকারীদের প্রতি স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনীর নিস্ক্রিয় ভূমিকা লক্ষ্যণীয়। এতে প্রতীয়মান হয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দোর্দণ্ডপ্রতাপে বিরাজ করছে। তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও পেশাদার আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের সমন্বয়ে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সমূহকে ঢেলে সাজানো এবং সংস্কার সাধন করতে হবে। কিন্তু এসব কাজে অন্তর্বতীকালীন সরকারের দুর্বলতা আশংকাজনক।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত