ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামলানো হচ্ছে, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার হয়নি: আইজিপি

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুলাই ১৬ ১৮:৪৯:১৯
ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামলানো হচ্ছে, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার হয়নি: আইজিপি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হামলায় শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হলেও পুলিশ সদস্যরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছেন এবং কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. বাহারুল আলম।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইজিপি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “উচ্ছৃঙ্খলতা যা হয়েছে, সেটা যতটুকু সম্ভব আমরা ধৈর্যের সঙ্গে প্রশমন করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আরও পুলিশ সদস্য পাঠানোর কাজ করছি। আমরা লিথ্যাল (প্রাণঘাতী অস্ত্র) কোনো কিছু ব্যবহার করছি না, তাই একটু সময় লাগছে।”

আইজিপির এই বক্তব্যের পরও সন্ধ্যা পর্যন্ত গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি থমথমে ছিল এবং পুরো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে এর মধ্যেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের কড়া পাহারায় অবরুদ্ধ এনসিপির নেতাকর্মীদের গোপালগঞ্জ শহর থেকে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে।

এর আগে বুধবার এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে শহর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপুর ২টার দিকে জেলার পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে সমাবেশ শুরুর আগেই বেলা দেড়টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মঞ্চে হামলা চালায়। এ সময় তারা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে এবং এনসিপির উপস্থিত নেতাকর্মীদের মারধর করে।

হামলার পরও এনসিপি নেতারা সমাবেশ চালিয়ে যান। কিন্তু সমাবেশ শেষে ফেরার পথে তাদের গাড়িবহরে দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়। এ সময় এনসিপির বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং পুলিশের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টাকালে হামলাকারীরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপরও চড়াও হয়। হামলার মুখে এনসিপি নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জ শহরে চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, এনসিপি নেতাদের ওপর এই হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এদিকে গোপালগঞ্জের এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান পৃথক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানান। উভয় নেতাই অবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত