ঢাকা, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২

বশেমুরবিপ্রবিতে এক যুগেও হয়নি সমাবর্তন

২০২৫ জানুয়ারি ০৬ ১৬:৫০:১২

বশেমুরবিপ্রবিতে এক যুগেও হয়নি সমাবর্তন

ডুয়া ডেস্ক: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) স্নাতক শিক্ষার্থীদের সমাবর্তন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার পর সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ প্রদানের অনুষ্ঠানটি শিক্ষাজীবনের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। কিন্তু প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পার হওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখনও সমাবর্তনের সুযোগ পাননি।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন। তাদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং যথাযথ উদ্যোগের অভাবে এই সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।

২০০১ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাস করার পর নানা বাধার কারণে কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি সরকার ধারাবাহিকভাবে এসআরও জারি করে এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপরও কোনো ধরনের সমাবর্তন আয়োজন করা হয়নি এবং বর্তমান পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি স্নাতক শিক্ষার্থী সমাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে।

এ প্রসঙ্গে ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নাইম হোসেন মন্তব্য করেন, “বশেমুরবিপ্রবির ১৪ বছরেও সমাবর্তন হয়নি। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শিগগিরই নতুন একটি সমাবর্তনের ঘোষণা দিতে হবে এবং প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর এটি আয়োজন করা উচিত।”

লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সুজন চৌধুরী বলেন, “বসার আচার্যের হাতে মূল সনদ নিয়ে বের হওয়া একজন শিক্ষার্থীর একটা স্বপ্ন। কিন্তু আমরা সেই স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমাদের দাবি, আমাদের প্রাপ্য সম্মানের সঙ্গে উৎসবে বিদায় দেওয়া হোক।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখ বলেন, “আমরা এখনই সমাবর্তনের দিকে যাচ্ছি না। তবে জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে একটি শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমি নতুন হওয়ার কারণে এ বছর সমাবর্তন আয়োজন করা সম্ভব নয়। তবে পরবর্তী বছর থেকে আমরা সমাবর্তনের আয়োজনের চেষ্টা করব।”

এভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমাধানের প্রত্যাশা করছেন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্যান্য সংবাদ