ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২
মাদ্রাসা-মন্দিরসহ সবাইকে সাথে নিয়ে পথ চলতে চাই: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, জুলাইয়ে মানুষ আমাদের বিশ্বাস করেছে। ওই সময় 'অল আইস অন ডিইউ'র মাধ্যমে মানুষ আমাদের পাশে থেকেছে। আমরা মাদ্রাসা-মন্দির থেকে শুরু করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবাইকে সাথে নিয়ে পথ চলতে চাই এবং তাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত "জুলাই বিপ্লব উদযাপন: বিদ্রোহ থেকে বিনির্মাণ" শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুল হক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা প্রমুখ।
সেমিনারে 'বিদ্রোহ থেকে রূপান্তরের এক বছর : জুলাই গণঅভ্যুত্থান, গনতান্ত্রিক সম্ভাবনা ও আমাদের দায়' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল হক।
উপাচার্য বলেন, আমরা কেউই আগে জানতাম না ৫ আগষ্ট হবে এবং সরকার পরিবর্তন হবে। তারপরও যারা আন্দোলনে যাওয়ার পরিণতি কী হতে পারে তা জানার পরও রাস্তায় নেমেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায় নিয়ে উপাচার্য বলেন, জুলাইয়ে মানুষ আমাদের বিশ্বাস করেছে। আমাদের মনে আছে ওই সময় 'অল আইস অন ডিইউ' চলেছে। আমরা মাদ্রাসা-মন্দির থেকে শুরু করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবাইকে আমাদের পাশে চাই। আমরা জুলাইকে চিরন্তন করার জন্য এটাকে একাডেমিক রূপদান করতে চাই। সেজন্য আমরা শীঘ্রই আমেরিকার কান্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে জুলাই নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করবো।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমি জুলাই আগষ্টের দিনগুলো খুব গর্বের সাথে স্মরণ করতে চাই। ওই সময় আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন বাজি রেখে সামনে এগিয়ে গেছে। আমরা এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের এই অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার কাজ করতে চাই।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদ বলেন, যেদিন থেকে হাসিনার ফ্যাসিবাদের গোড়াপত্তন হয়েছে সেদিন থেকেই ঢাবির কিছু শিক্ষক চেষ্টা করেছে তার প্রতিবাদ করতে। কিন্তু তারা সংগঠিত হতে পারেননি। তবে তারা প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তাদের প্রতিবাদ জারী রেখেছেন। এদেশের সমাজের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়-দায়িত্ব আছে। আমরা সামাজিকভাবে এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তা পালন করতে চাই।
সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, আবেগ ছাড়া এই অভ্যুত্থানকে বর্ণনা করা কঠিন। এই অভ্যুত্থানের আগে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক যে দুরাবস্থা ছিলো, এটি অভ্যুত্থানকে তরান্বিত করেছে। আমরা যেহেতু একটা গণঅভ্যুত্থান পার করে এসেছি, আমাদের এখন ন্যায়বিচারের রাস্তায় হাঁটার কথা। আমি আশা করি ঢাবির কোন শিক্ষার্থী বা শিক্ষক এমন কোন রাজনৈতিক দল করবেন না, যে দলের ক্ষমতাকে আপনারা প্রশ্ন করতে পারবেন না।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- রেকর্ড তলানিতে তিন কোম্পানির শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
- পদোন্নতি পাবেন না যেসব সরকারি কর্মকর্তারা
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!