ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ইসরায়েলে সঙ্গে সম্পর্কে মৃত্যুদণ্ড

কঠোর আইন চালু করল ইরান

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুলাই ০১ ১৭:১১:০৪
কঠোর আইন চালু করল ইরান

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রাখলেই শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে- এমন একটি নতুন আইন মঙ্গলবার (১ জুলাই) পাস করেছে ইরানের সংসদ। শুধু ইসরায়েলই নয়, অন্যান্য ‘শত্রু’ রাষ্ট্রের সঙ্গেও ইরানি নাগরিকদের যেকোনো ধরনের যোগাযোগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক ব্যবহারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি।

নতুন আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি, গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা বা এসব দেশের সঙ্গে যেকোনো ধরনের সম্পর্ক স্থাপন ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ (corruption on earth) অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে—যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

বিশেষভাবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আইনটিতে আরও বলা হয়েছে, যারা দেশটিকে সামরিক, অর্থনৈতিক বা প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে, তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

অন্যদিকে স্টারলিংকসহ যেকোনো অননুমোদিত ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়, বিক্রি বা নিজের কাছে রাখা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ ধরনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

যারা ১০টির বেশি নিষিদ্ধ যন্ত্রপাতি উৎপাদন বা আমদানি করবে তাদের জন্য সাজা আরও কড়াকড়ি। এই অপরাধে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া কেউ যদি সামরিক ড্রোন তৈরি করে, সাইবার হামলায় অংশ নেয় অথবা শত্রুপক্ষের জন্য ইরানের অবকাঠামোতে নাশকতা ঘটায়, এমনকি শুধু চেষ্টাও করে, তাহলেও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে বলে আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি কেউ যদি মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে বা এমন কনটেন্ট তৈরি করে যা মানুষের মধ্যে ‘ভয়, বিভক্তি’ ছড়ায় এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ সৃষ্টি করে, তাহলে তাকে ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

এ ছাড়া যদি কেউ বিদেশি গণমাধ্যমে এমন ছবি বা ভিডিও পাঠায় যা ইরানি জনগণের ‘মনোবল দুর্বল করতে পারে’, তাহলে তার জন্য দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।সূত্র: ইরানওয়ার

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত