ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
ইতিহাস গড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স
.jpg)
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দুদিন বাকি থাকতেই প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার সমান। দেশের ইতিহাসে এর আগে কোনো অর্থবছরে এত বেশি রেমিট্যান্স আসেনি।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে করোনা মহামারির সময় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা এতদিন পর্যন্ত ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। নতুন এই মাইলফলকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
জুন মাসের প্রথম ২৮ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২.৫৪ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৩১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে)। সংশ্লিষ্টদের আশা, মাসের বাকি দুই দিনেও রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত থাকলে, জুন শেষে তা ২.৭০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্থ পুরোপুরি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে এসেছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি এনে দিয়েছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পেছনে সরকারের হুন্ডিবিরোধী কঠোর ব্যবস্থা, প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং সেবার উন্নয়ন বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
২০২৫ সালের মার্চ মাসে প্রবাসীরা একক মাসে সর্বোচ্চ ৩৩০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন, যা দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স অর্জনের রেকর্ড। মে মাসেও এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত প্রতি মাসেই দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। জুলাইয়ে এসেছিল ১৯১ কোটি, আগস্টে ২২২ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫২ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি এবং মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা আট মাস ধরে দেশে এসেছে দুই বিলিয়ন বা তার বেশি রেমিট্যান্স, মার্চে এসেছে তিন বিলিয়নেরও বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত দেশে মোট ৩০.০৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে এই সময়ের মধ্যে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩.৭৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থনীতির এই ইতিবাচক ধারা ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ইরানে বড় ধ্বংসলীল : ৬ বিমানবন্দরে একযোগে হামলা
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা; উত্তেজনা তুঙ্গে
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- মুন্নু সিরামিকের বিনিয়োগকারীদের জন্য দারুণ সুখবর
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- আর্থিক অস্বচ্ছল দুই শিক্ষার্থীর ভর্তিতে সহযোগিতা করলেন ছাত্রদলনেতা হামিম
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি