ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আটটি কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমাণ ৪০ শতাংশের বেশি। ডিএসই ও আমার স্টক সূত্রে এ তথ্য গেছে। কোম্পানিগুলো হলো: বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি), ইস্টার্ন ব্যাংক, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিজ ফাইন্যান্স (বিআইএফসি), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, জেএমআই হসপিটাল, মতিন স্পিনিং এবং সাউথইস্ট ব্যাংক।
সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। তবে এই আটটি কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগই মৌলভিত্তির দিক থেকে ততটা শক্তিশালী নয়, যা বাজার বিশ্লেষকদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক ধারাবাহিক পতনের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কিছু কিছু কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে এখন একরকম 'ফেঁসে' গেছেন। এ কারণেই সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগই তুলনামূলকভাবে দুর্বল মৌলের কোম্পানি। এটি বিনিয়োগ কৌশল এবং বাজার অস্থিরতারই ফসল।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ বিনিয়োগের আটক কোম্পানির বিস্তারিত বিনিয়োগ তথ্য নিচে দেওয়া হলো[
বিজিআইসি
কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৫ কোটি ৪০ লাখ ২৭ হাজার ২৩৫টি এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি ২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
মোট শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ৪৭.২৬ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৩.৪০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯.৩৪ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ১০ শতাংশ ক্যাশ।
বাংলাদেশ ইন্ডাষ্ট্রিজ ফাইন্যান্স
কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৪টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
মোট শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩.২৭ শতাংশ। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৮.৩৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮.৩৮ শতাংশ শেয়ার। ২০১৪ সাল থেকে কোন ডিভিডেন্ড দেয়নি।
ইস্টার্ন ব্যাংক
কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১৫৯ কোটি ৫৮ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৮টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৫৯৫ কোটি ৮১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
মোট শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩.৬২ শতাংশ। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩১.৪৪ শতাংশ, বিদেশিদের কাছে ০.৪৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪.৫১ শতাংশ শেয়ার। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরমধ্যে ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ১৭.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১০৩ কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার ৬৭২টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৬ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
মোট শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৩.৯৯ শতাংশ। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ১৫.৪৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩০.৫৮ শতাংশ শেয়ার। ২০২২ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
জেএমআই হসপিটাল
কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি ৫২ লাখ ৯৪ হাজার ১২০টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
মোট শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩.৮৩ শতাংশ। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩২.৩০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩.৮৭ শতাংশ শেয়ার। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
মতিন স্পিনিং
কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার এবং পরিশোধিত মূলধন ৯৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
মোট শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৫.০৩ শতাংশ। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩২.৭২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২.২৫ শতাংশ শেয়ার। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক
কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১১৪ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ১০০টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৪০ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
মোট শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬৯.৬৯ শতাংশ। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ১১.৬২ শতাংশ, বিদেশিদের কাছে ০.৮৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮.৮২ শতাংশ শেয়ার। ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরমধ্যে ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড। তবে ২০২৪ সালে ‘নো ডিভিডেন্ড’ দিয়েছে।
সাউথইস্ট ব্যাংক
কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১৩৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৮টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
মোট শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪০.৪২ শতাংশ। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৪.৪৭ শতাংশ, বিদেশিদের কাছে ০.৯৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪.১৭ শতাংশ শেয়ার। ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরমধ্যে ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৪ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড। তবে ২০২৪ সালে ‘নো ডিভিডেন্ড’ দিয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস