ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

আপিল বিভাগের রায়ের পর নগদে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস

ডুয়া নিউজ- অর্থনীতি
২০২৫ জুন ২৬ ২৩:১৩:১২
আপিল বিভাগের রায়ের পর নগদে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস

মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেডের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে সরকার। একই সঙ্গে নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুতাসিম বিল্লাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে অধ্যাপক ড. নিয়াজ আসাদুল্লাহকে। পর্ষদের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট ও ব্যাংকিং রেগুলেটরি অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টের পরিচালক, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের পরিচালক খন্দকার সাব্বির মোহাম্মদ কবির, ব্যারিস্টার তানিম হোসাইন শাওন, দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এইচ এম বাররু সানি।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এরপর এক নিরীক্ষায় বড় ধরনের আর্থিক অনিয়ম ও জালিয়াতির তথ্য উঠে আসে। তদন্তে দেখা যায়, ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-মানি তৈরি করা হয়, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব গরমিল পাওয়া যায়।

সাবেক সরকারের সময়, নগদ একচেটিয়া সুবিধা পায় এবং সরকারি ভাতা বিতরণসহ গ্রাহক তৈরিতে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করে। এসব অনিয়ম সংঘটিত হয় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততায়। এ ঘটনায় ডাক বিভাগের আটজন সাবেক ও বর্তমান মহাপরিচালক, নগদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সিইওসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নগদে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট হাইকোর্টে খারিজ হলেও পরে তা স্থগিত হয়। এই রায় প্রকাশের দিনই, ৭ মে, নগদের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগের প্রতিনিধিদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন এবং নিজেরাই মামলার আসামি মো. সাফায়েত আলমকে সিইও হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর ১৩ মে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই স্থগিতাদেশ আংশিক প্রত্যাহারের আবেদন জানায় এবং ১৪ মে তা চেম্বার আদালত থেকে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়। ২ জুন আপিল বিভাগ নগদে প্রশাসক নিয়োগ স্থগিতের আদেশ বাতিল করে রায় দেয়, যার ফলে সরকার পুনরায় নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় এবং পর্ষদ পুনর্গঠন ও নতুন সিইও নিয়োগের পথ উন্মুক্ত হয়।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

জানা গেলো ডাকসুর সম্ভাব্য তারিখ

জানা গেলো ডাকসুর সম্ভাব্য তারিখ

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে... বিস্তারিত