ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

চালের বাজারে সিন্ডিকেট: কেজিতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ২৬ ১৫:০১:০৯
চালের বাজারে সিন্ডিকেট: কেজিতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা

বোরো মৌসুমে ধান কাটার মৌসুম চললেও সারা দেশে হঠাৎ করেই চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহে চালের দাম প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়ে গেছে। ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে মোটা চাল (ইরি/স্বর্ণা) বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৬০ টাকা, মাঝারি মানের পাইজাম বা লতা ৫৬ থেকে ৬৫ টাকা এবং সরু চাল (নাজিরশাইল/মিনিকেট) ৭০ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও এই দামে ছিল ২ থেকে ৭ টাকা কম।

উত্তরাঞ্চলের অন্যতম চাল মোকাম বগুড়ার শেরপুরে ৫০ কেজির বস্তায় চালের দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। স্থানীয় রাইস মিল মালিক আইয়ুব আলী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাতালে ধান শুকানো যাচ্ছে না, ফলে উৎপাদনও কমছে। সেইসঙ্গে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ধান মজুদের প্রবণতা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মজুত বাড়ানোয় বাজার চাপে রয়েছে।

নওগাঁতেও একই চিত্র। সেখানে এক সপ্তাহে চালের কেজিপ্রতি দাম ৩ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা বাজারে জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০–৭২ টাকা, কাটারি ৭৫–৮০ টাকা, শুভলতা ৬২–৬৪ টাকা, ব্রি–২৮ চাল ৬৫–৬৬ টাকা এবং স্বর্ণা–৫ চাল ৫৮–৬০ টাকা দরে।

চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছে। এর জন্য মূলত দায়ী বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর আগাম মজুত। এসিআই, রূপচাঁদা, আকিজ, স্বপ্ন, প্রাণসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিশাল পরিসরে ধান ও চাল কিনে রেখে দিচ্ছে নিজেদের গুদামে, ফলে বাজারে সংকট তৈরি হচ্ছে।

চালবাজার সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন অভিযোগ করেন, বড় ব্যবসায়ীরা হাজার টন চাল মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রশাসনিক তৎপরতার দাবি জানান।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

ইরান ছাড়তে চান না বাংলাদেশিরা

ইরান ছাড়তে চান না বাংলাদেশিরা

ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিলেও যুদ্ধবিরতির ১২তম দিনে অনেকেই সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। এখন তারা... বিস্তারিত