ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান

১২ দিন ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর কাতারের মধ্যস্থতায় ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে অবশেষে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। উভয় দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংবাদমাধ্যম এ খবর নিশ্চিত করেছে। তবে এই যুদ্ধবিরতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্তে কার্যকর হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির প্রধান শর্তসমূহ
১. পর্যায়ক্রমিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা
প্রথমে ইরান একতরফাভাবে সামরিক অভিযান বন্ধ করবে। এরপর ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েলও আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেবে। পুরো প্রক্রিয়াটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ হবে।
২. নির্ধারিত সময়সীমা
ইরানকে স্থানীয় সময় সকাল ৪টার মধ্যে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সব অভিযান বন্ধ করে।
৩. আঞ্চলিক মধ্যস্থতা ও আন্তর্জাতিক চাপ
ইরান কাতার, ওমান এবং সৌদি আরবের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য। এই গালফ রাষ্ট্রগুলো শান্তিপূর্ণ সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
৪. নতুন হামলা থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার
যুদ্ধবিরতি চলাকালে উভয় পক্ষই নতুন কোনো ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা চালাবে না—এই ব্যাপারে দুই দেশ সম্মত হয়েছে।
৫. উত্তেজনাহীন পরিবেশ বজায় রাখা
উভয় দেশকেই শান্তিপূর্ণ এবং দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখার শর্তে সম্মত হতে হয়েছে।
৬. পরমাণু আলোচনা শুরুর পথ প্রশস্ত
ইরান শর্ত দেয়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে কোনো পরমাণু আলোচনা সম্ভব নয়। এই চুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যৎ আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ সময় ২৪ জুন ভোর ৪টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে উভয় পক্ষ তাদের চলমান সামরিক অভিযান শেষ করবে এবং ১২ ঘণ্টা পর যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে।
ট্রাম্প লেখেন “ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আমি তাদের দৃঢ়তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার জন্য অভিনন্দন জানাই। এই যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারত এবং গোটা অঞ্চলকে বিপর্যস্ত করতে পারত কিন্তু এখন শান্তির পথ উন্মুক্ত হয়েছে।”
তিনি তার বার্তার শেষে প্রার্থনা করেন—
“সৃষ্টিকর্তা ইসরায়েল, ইরান, মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সমগ্র বিশ্বকে আশীর্বাদ করুন।”
এই চুক্তিকে বলা হচ্ছে একটি কূটনৈতিক সফলতা এবং সাময়িক হলেও একটি বড় ধরনের যুদ্ধের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার সুযোগ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার