ঢাকা, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
ই'সরায়েলের ড্রোন ভূপাতিতের সংখ্যা জানাল ইরান

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইরানি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের ‘নির্মম ও অযৌক্তিক’ বিমান হামলার জবাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে উভয় পক্ষ। এই প্রেক্ষাপটে ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের পাঠানো ১৩০টিরও বেশি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সীমান্ত লঙ্ঘন করে যে আক্রমণাত্মক ড্রোনগুলো পাঠিয়েছিল সেগুলোর বেশিরভাগ সফলভাবে শনাক্ত ও ধ্বংস করা হয়েছে। ভূপাতিত ড্রোনগুলোর মধ্যে ছিল উন্নত প্রযুক্তির ‘হার্মেস ৯০০’, ‘হার্মেস ৪৫’, ‘হেরন’ এবং আত্মঘাতী ‘হারপ’ মডেল।
ইরানের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিনে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট বহু শত্রু ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করেছে। তারা এটিকে আকাশ প্রতিরক্ষায় নিজেদের উচ্চ সক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৩ জুন সকালে ইসরায়েল ইরানের অভ্যন্তরে একটি বিমান হামলা চালায়। এতে ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আন্বিয়া কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল গোলাম আলি রাশিদসহ ছয়জন শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন।
এই হামলার পর মুসলিম বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তেহরান একে আন্তর্জাতিক আইন এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং পাল্টা জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান শুরু করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামে প্রতিরোধ অভিযান। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এই অভিযানে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, গোয়েন্দা কেন্দ্র এবং তেল আবিবের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই প্রতিরোধ অভিযান ছিল ‘সমন্বিত, সুপরিকল্পিত ও কৌশলগতভাবে অত্যন্ত সফল’। এটি ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার দক্ষতাকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে।
ইরান জানিয়েছে, বিপুল সংখ্যক ড্রোন ভূপাতিত করতে তারা নিজস্বভাবে তৈরি রাডার সিস্টেম, জ্যামিং প্রযুক্তি এবং অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট অস্ত্র দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করেছে। ইরানি সামরিক বিশ্লেষকরা একে বিশ্ব সামরিক ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা বলেও মন্তব্য করেছেন।
বিশ্লেষকরা আরও বলেন, "ড্রোনগুলোর প্রধান লক্ষ্য ছিল তথ্য সংগ্রহ ও ভবিষ্যৎ হামলার প্রস্তুতি, কিন্তু ইরানের আগাম প্রস্তুতি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতাই এই হুমকি প্রতিহত করেছে।"
এক জ্যেষ্ঠ আইআরজিসি কমান্ডার বলেন, "ইরান আর চুপ করে সহ্য করবে না। যে রক্ত অন্যায়ভাবে ঝরানো হয়েছে, তা ইমান ও প্রতিশোধ দিয়ে প্রতিফলিত হবে।"
ইরানের এই সাফল্য ও কঠোর অবস্থান ইসলামী বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু সামরিক জবাব নয় বরং এক কৌশলগত বার্তা, যা ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্রদের জন্য সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি।
সূত্র : ট্রেন্ড নিউজ এজেন্সি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরাসরি পারমাণবিক অ'স্ত্র পাবে ইরান!
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে গেল চার ব্যাংক
- সাত কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের পুঁজির বড় অংশ উধাও
- হা'মলার পর হন্যে হয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের
- ভিডিও ফাঁস করার বিষয়ে মুখ খুলেছেন শরীয়তপুরের সেই ডিসি
- ইরানে বড় ধ্বংসলীল : ৬ বিমানবন্দরে একযোগে হামলা
- দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান
- একাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
- মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা; উত্তেজনা তুঙ্গে
- শেয়ার কিনেছেন চার কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে ক্লাস ছুটি কতদিন, যা জানা গেল
- মোবাইলে কল এলেই ইন্টারনেট বন্ধ? এক মিনিটেই সমাধান!
- জেরুজালেম ও তেল আবিবে বড় বিস্ফোরণ, ট্রাম্পের জরুরি বৈঠক