ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
৪৪ আমলার অপসারণের দাবিতে রাজধানীতে পোস্টার
.jpg)
আবারও রাজধানীতে সরকারের ৪৪ জন আমলার অপসারণ দাবি নিয়ে পোস্টারিং করা হয়েছে। এসব পোস্টার তোপখানা রোড, সচিবালয়ের আশপাশ, সেগুনবাগিচা, মেট্রোরেলের পিলারসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে। এবারের পোস্টারিং করা হয়েছে ‘জুলাই মঞ্চ’এর ব্যানারে। এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে একই স্থানে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা’ ব্যানারে সরকারের পাঁচ জন সচিব ও তিনটি অধিদফতরের শীর্ষ তিন কর্মকর্তা সম্বলিত ছবি দিয়ে পোস্টারিং করেছিল। ‘গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সহযোগী আমলাদের অপসারণ চাই’ শিরোনামে এসব পোস্টার দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়।
এবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে পোস্টারিং করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মুসফিকুর রহমান, অর্থ বিভাগের সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য রুহুল আমিন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন
এছাড়াও রয়েছেন, পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের সচিব আমিন উল আহসান, বিপিএটিসির রেক্টর সাঈদ মাহবুব খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোকাব্বির হোসেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাঈদুর রহমান, জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর ড. মুহম্মদ সহিদ উল্লাহ, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস একাডেমির রেক্টর ড. মো. ওমর ফারুক, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান নাসরীন আফরোজ, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জয়নুল বারি, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুসলিম চৌধুরী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশরাত চৌধুরী, বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক শরিফা খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীন, অর্থ ও উন্নয়ন বিভাগ (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।
এছাড়াও রয়েছেন- পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এ এম আকমল হোসেন আজাদ ও ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক সুকেশ কুমার সরকার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সংযুক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহমুদুল হোসাইন খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মহম্মদ সাইফুজ্জামান, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. লিপিকা ভদ্র, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আব্দুল কাইয়ুম, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক কেয়া খান, জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোহাম্মদ বশিরুল আলম, ওয়াশিংটন ডিসির ইকোনমিক মিনিস্টার মেহেদী হাসান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক কাজী এনামুল হাসান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
‘জুলাই মঞ্চ’ নামের ব্যানারে এসব পোস্টার রাতের অন্ধকারে রাজধানীর বিভিন্ন দেয়ালে, বিশেষ করে সচিবালয়ের আশপাশের দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মেট্রোরেলের বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনের আশেপাশে ও তার পিলারগুলোতেও ব্যাপক পরিমাণে পোস্টার দেখা গেছে। যদিও পোস্টারগুলো ‘জুলাই মঞ্চ’-এর ব্যানারে প্রকাশিত হলেও এখন পর্যন্ত এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
অপসারণের দাবিতে পোস্টারিং বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, "বিষয়টি (পোস্টার লাগানো) আগেরবারও আমার জানা ছিল না, এবারও না। সরকার যতদিন এই পদে রাখবে, ততদিনই আমি আমার দায়িত্ব পালন করবো। এর বেশি তো বলার কিছু নেই।"
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোকাব্বির হোসেন জানিয়েছেন, "বিষয়টি শুনেছি, এ পর্যন্তই। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারি সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।"
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি