ঢাকা, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
হার্ভার্ডের বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন দেশটির বোস্টন জেলা আদালতের বিচারক অ্যালিসন বারো।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দেওয়া রায়ে বিচারক হার্ভার্ডের পক্ষে অবস্থান নেন। রায়ে তিনি জানান, প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা আইনত বৈধ নয়।
নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছিল, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ‘এফ’ বা ‘জে’ ক্যাটাগরির শিক্ষার্থী ভিসায় ভর্তি করাতে পারবে না। এমনকি যারা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন তাদের বিদ্যমান ভিসাও বাতিল করা হতে পারে।
তবে হার্ভার্ড এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করে জানায়, প্রশাসন কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র অজুহাতে শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এটি ফেডারেল আইনের পরিপন্থী।
আদালতে দাখিল করা নথিতে হার্ভার্ড জানায়, এই আদেশ হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ধ্বংস করছে। তাদের শিক্ষার অধিকার হরণ করা হচ্ছে। আর হার্ভার্ডকে তার শিক্ষাদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ছাড়া হার্ভার্ড, হার্ভার্ডই নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, যদি ওই শিক্ষার্থীরা সত্যিই জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতেন, তাহলে শুধুমাত্র হার্ভার্ড নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রেই তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হতো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে শুধু হার্ভার্ডে ভর্তির সুযোগ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এতে প্রমাণ হয় যে সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, হার্ভার্ড বিদেশি রাষ্ট্র, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বিপজ্জনক সম্পর্ক বজায় রাখছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, 'হার্ভার্ড এখন হয়ে উঠেছে এক ধরনের উগ্রপন্থী, আমেরিকা-বিরোধী এবং সন্ত্রাসবাদ সমর্থনকারীদের ঘাঁটি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টি বারবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।'
এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত ‘স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম’ (SEVP) সার্টিফিকেশন বাতিলের ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পরই হার্ভার্ড বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আদালতের শরণাপন্ন হয় এবং বিচারক অ্যালিসন বারো তাৎক্ষণিকভাবে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।
প্রথমে ছয় মাসের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার পরিকল্পনা ছিল। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে প্রয়োজন হলে সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে শুধু নতুন ভর্তি নয়, হার্ভার্ডে ইতোমধ্যে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের নির্দেশও অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের করমুক্ত সুবিধা বাতিল, সরকারি অনুদান বন্ধ এবং একাধিক আইনি চাপ সৃষ্টির ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
হার্ভার্ডের দাবি, এসব পদক্ষেপ মূলত একটি প্রতিশোধমূলক প্রচেষ্টা—কারণ তারা প্রশাসনের পাঠ্যক্রম, নীতিমালা এবং মতাদর্শগত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল।সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- সরাসরি পারমাণবিক অ'স্ত্র পাবে ইরান!
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে গেল চার ব্যাংক
- সাত কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের পুঁজির বড় অংশ উধাও
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- ভিডিও ফাঁস করার বিষয়ে মুখ খুলেছেন শরীয়তপুরের সেই ডিসি
- দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান
- একাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
- শেয়ার কিনেছেন চার কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা
- মোবাইলে কল এলেই ইন্টারনেট বন্ধ? এক মিনিটেই সমাধান!
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে ক্লাস ছুটি কতদিন, যা জানা গেল
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান