ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২
ঈদের আগের ৩ দিনে এসেছে ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স

আসন্ন শনিবার পালিত হতে যাচ্ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু কেনা, পরিবার-পরিজনের খরচ ও উপহার আদান-প্রদানের জন্য এই সময়ে দেশে বাড়তি অর্থের প্রয়োজন পড়ে। এই খরচ মেটাতে প্রবাসীরা প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসের প্রথম তিন দিনে প্রবাসীরা প্রায় ৬০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে) ৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকার বেশি। এই বিপুল অঙ্কের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং ঈদকেন্দ্রিক বাজারকে করেছে প্রাণবন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদুল আজহাকে ঘিরে পশু কেনাকাটা, পোশাক, উপহার এবং অন্যান্য পারিবারিক খরচের জন্য সাধারণত রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যায়। এবারও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, রেমিট্যান্স কেবল প্রবাসীদের পরিবারের আয় বাড়ায় না, বরং সামগ্রিক অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঈদ উপলক্ষে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয় এবং নগদ অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আনে।
সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবাসীদের বৈধপথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই টাকা পাঠানোর সুবিধা থাকায় অনেকেই হুন্ডির পরিবর্তে বৈধ চ্যানেল বেছে নিচ্ছেন।
এর আগে, ২০২৪ সালের মে মাসে প্রবাসীরা ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাসিক প্রবাসী আয়। টাকায় এর পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ৫৩১ কোটি টাকারও বেশি। মে মাস শেষে দেশের প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
গত বছরের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২২৫ কোটি ডলার যেখানে ২০২৪ সালের মে মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৭ কোটি ডলারে—অর্থাৎ প্রায় ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। চলতি বছরের মার্চে ঈদুল ফিতরের সময়, এসেছে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে প্রতি মাসে। মার্চ মাসে এই অঙ্ক তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত জুলাই থেকে ৩ জুন ২০২৫ পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৮১১ কোটি ডলার যা আগের বছরের তুলনায় ২৯.৮ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২ হাজার ১৬৬ কোটি ডলার।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার