ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
মে মাসে রপ্তানিতে অগ্রগতি

এপ্রিলে রপ্তানিতে কিছুটা ধীরগতি দেখা গিয়েছিল। তবে এর তুলনায় মে মাসে দেশের পণ্য রপ্তানিতে আবারও গতি ফিরে এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মে মাসে রপ্তানিতে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মে মাসে বাংলাদেশ ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় কমে দাঁড়িয়েছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মে মাসের এ প্রবৃদ্ধি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ইপিবি'র তথ্যানুযায়ী, ‘বাংলাদেশে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে মোট পণ্য রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৪৪.৯৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।’
জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত সময়ে তৈরি পোশাক খাত থেকে দেশের রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ৩৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ৩৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার।
ওভেন পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে।
অন্যদিকে নিটওয়্যার খাত থেকে আয় হয়েছে ১৯ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি।
ইপিবি'র তথ্যা অনুযায়ী, ‘চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৯২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই আয় আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি।’
হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ রপ্তানি করে চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে বাংলাদেশ আয় করেছে ৪১০ মিলিয়ন ডলার। আগের বছরের তুলনায় যা ১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে ১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি আয়ও ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৭০ মিলিয়ন ডলার।
বিশেষভাবে চামড়ার তৈরি জুতা রপ্তানিতে ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। জুতা রপ্তানি ৪৮১ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৬২০ মিলিয়ন ডলার। তবে চামড়াজাত অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১৭ মিলিয়ন ডলারে।
পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে ৭৬৯ মিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
হোম টেক্সটাইল খাতে রপ্তানি আয় বেড়ে ৮২৫ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে যা ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
নন-লেদার ফুটওয়্যার খাতে ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ খাত থেকে আয় দাঁড়িয়েছে ৪৯৪ মিলিয়ন ডলার। যেখানে গত বছর আয় ছিল ৩৭৯ মিলিয়ন ডলার।
এছাড়া ফার্মাসিউটিক্যালস খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৯৭ মিলিয়ন ডলার।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- স্টক ডিভিডেন্ড পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ২৬ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা