ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২

পে স্কেল নিয়ে ৫ ঘণ্টা বৈঠক শেষে যেসব সিদ্ধান্ত হলো

২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ২১:২৯:৫৭

পে স্কেল নিয়ে ৫ ঘণ্টা বৈঠক শেষে যেসব সিদ্ধান্ত হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নবম পে-স্কেল নির্ধারণের বিষয়ক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় শুরু হওয়া এই সভা রাত ৮টা পর্যন্ত চলেছে। সভায় বেশ কিছু খসড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

পে-কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আলী খান, মো. ফজলুল করিম, মো. মোসলেম উদ্দীন, সদস্য সচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিকসহ খন্ডকালীন সদস্য ও কর্মকর্তারা।

সূত্র জানায়, পূর্ণ কমিশনের সভায় কমিশনের তৈরিকৃত খসড়া ড্রাফট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কিছু বিষয়ে সংশোধনী আনা প্রয়োজন হওয়ায় পরবর্তীতে আরও পূর্ণ কমিশনের সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনের চূড়ান্ত প্রণয়নের আগে অন্তত তিনটি পূর্ণ কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং এর পর কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।

তিন ধাপে পে-স্কেলের সুপারিশ বাস্তবায়িত হবে। প্রথম ধাপে পে-কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর এটি সচিব কমিটিতে যাবে। সচিব কমিটির অনুমোদনের পর উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে, যা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। শেষে গেজেট জারি করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কমিশন সদস্য জানান, “খসড়া ড্রাফট প্রস্তুত, তবে কিছু সংশোধনী প্রয়োজন। এরপর কমিশন রিপোর্ট জমা দেবে। নির্ধারিত সময়ের আগেই এটি সম্পন্ন হবে।” বেতন এবং গ্রেড বিষয়ে তিনি বলেন, “ড্রাফট চূড়ান্ত নয়। তাই এখন কোনো মন্তব্য উপযুক্ত নয়। তবে সুপারিশ বাস্তবসম্মত হবে, অতিরঞ্জিত নয়।”

নবম পে-স্কেল সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন থেকে প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণ করছে পে-কমিশন। তবে এখনও সম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়নি। সোমবার একটি সূত্র জানিয়েছে, কর্মচারীরা সম্প্রতি মহাসমাবেশ বা কঠোর কর্মসূচির হুমকিতে বিচলিত নন।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক বলেন, “অবশ্যই আমরা দাবি পেশ করব, তবে সব দাবি রাস্তায় আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় হয় না। আলোচনার মাধ্যমে পে-স্কেল বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।” অন্যদিকে, সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব বেল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, “অর্থ উপদেষ্টা সালেহ আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঐক্য পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে নতুন কর্মসূচি নির্ধারণ করবে।”

মুখ্য সমন্বয়ক ওয়ারেছ আলী বলেন, “সরকারি কর্মচারী হিসেবে আমরা শুধুমাত্র বিধিমালা ও শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করব। কোনো বিধিমালা বহির্ভূত কর্মসূচি দেয়া হবে না।”

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের জন্য গত জুলাইতে অন্তর্বর্তী সরকার পে-কমিশন গঠন করে। ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে কর্মচারীরা আশা করছেন, ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে নবম পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশিত হবে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত