ঢাকা, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২
টানা বৃষ্টি আরও যতদিন
.jpg)
দেশের ওপর সক্রিয় লঘুচাপের প্রভাবে সারাদেশেই ঝরছে বৃষ্টি। কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও মুষুলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কতদিন থাকবে এমন প্রশ্ন জনমনে।
আজ শুক্রবার (৩০ মে) বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ ও পরে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার কারণেই বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই এমন বৃষ্টির দেখা মিলছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার রাতে উপকূল অতিক্রম করে স্থলভাগে উঠে এসে এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।’
আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ প্রকাশিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে টাঙ্গাইল ও এ আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছিল নিম্নচাপটি। ‘এটি আরও উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃ্ষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে’, বলা হয় এতে।
স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলে মেঘের ঘন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যার ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই অবস্থার প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আজও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ ও তীব্রতায় ওঠানামা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, ‘আজ দেশের আটটি বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।’
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, রোববার পর্যন্ত বৃষ্টিপ্রবণ এই পরিস্থিতি মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে শুরু করবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে সক্রিয় নিম্নচাপের সঙ্গে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবও যুক্ত হয়েছে। ফলে বর্ষাকালের বৃষ্টি আগেভাগেই শুরু হয়ে গেছে। এজন্য আগামী সপ্তাহজুড়েই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে উপকূলীয় এলাকার অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর ক্ষেত্রে সংকেত দুই এবং অন্যস্থানে এক নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘েবরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকাগুলোর কিছু স্থানে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া ভারী বৃষ্টির ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে ঢাকা শহরের অনেক এলাকায় ইতোমধ্যে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষকে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে