ঢাকা, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
জাতীয় পেনশনের ৮ সুবিধা, বাস্তবায়নে ১০ চ্যালেঞ্জ
.jpg)
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেলেও এর বাস্তবায়নে এখনো নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবু আটটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধার কথা তুলে ধরে মানুষকে এতে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে সরকার। এই কর্মসূচি রাষ্ট্রীয় নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত, যেখানে গ্রাহকের চাঁদা লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে মুনাফা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে গ্রাহকের পেনশনের পরিমাণও বাড়তে পারে।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এক কর্মশালায় এই বিষয়গুলো উঠে আসে। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য (তহবিল ব্যবস্থাপনা) মো. গোলাম মোস্তফা।
কর্মশালায় জানানো হয়, পেনশন কর্মসূচি চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রগতি, সমতা, প্রবাস ও সুরক্ষা এই চারটি স্কিমে মোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮২২ জন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন। এ সময় চাঁদা হিসেবে জমা হয়েছে ১৭৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বেসামরিক প্রশাসন, রেল এবং প্রতিরক্ষা অর্থ বিভাগের অধীন প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পেনশন সুবিধা পাচ্ছেন ৮ লাখ ৮১ হাজার জন। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত প্রায় ৭৫ লাখ ব্যক্তি এবং ১০ লাখ সিপিএফভুক্ত কর্মী রয়েছেন, যারা এখনো এ পেনশন কাঠামোর আওতায় আসেননি।
প্রবন্ধে পেনশন কর্মসূচিতে আসার কারণ হিসেবে আটটি সুবিধার কথা তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় নিশ্চয়তাযুক্ত;
- পেনশনের আওতায় পাওয়া যাবে সামাজিক সুরক্ষা।
- গ্রাহকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা চাঁদা সরকার লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করে।
- বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফা বাড়লে গ্রাহকের পেনশনও বাড়বে।
- সরকার বিনিয়োগ করার আগে চাঁদার টাকা ফেরত দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি।
অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে: সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা অনলাইনে এ কর্মসূচি চালুর সুবিধা; মাসিক ভিত্তিতে চাঁদার টাকার বর্তমান মূল্য ও ভবিষ্যৎ মূল্য হিসাবের সুযোগ এবং কত টাকা চাঁদা দিলে কত টাকা পাওয়া যাবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া।
তবে, এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে অন্তত ১০টি বড় চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে রয়েছে: পেনশন কর্মসূচিতে এলে কী সুবিধা পাওয়া যাবে, তা সম্ভাব্য গ্রাহকদের বোঝানোর চ্যালেঞ্জ; তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) পদ্ধতিকে শক্তিশালী করার চ্যালেঞ্জ, সমতা কর্মসূচির সুবিধাভোগী নির্বাচন নিয়ে চ্যালেঞ্জ। কারণ, এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে কাদের বার্ষিক আয় ৬০ হাজার নিচে, তা চিহ্নিত করা কঠিন।
অন্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে: কেউ কম্পিউটার পরিচালনা করতে জানেন, কেউ জানেন না। আছে সাইবার নিরাপত্তার বিষয় অর্থাৎ সবকিছুই যেহেতু অনলাইনে করতে হয়, ফলে নিরাপত্তার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ ছাড়া প্রগতি কর্মসূচিতে প্রাতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, প্রবাস কর্মসূচিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের যুক্ত করার বিষয়ে আগ্রহী করে তোলার চ্যালেঞ্জ।
এসব কাজ করার জন্য দক্ষ ও পেশাগত জনবল নিয়োগ; হিসাবের জন্য ব্যাংক, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নির্বাচন কমিশন এবং জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্তিও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা পাওয়াকে আরেক চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে সরকার।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারি কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ, তালিকায় ২১ প্রতিষ্ঠান
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- দশ হাজার কোটি ঋণের বোঝায় আইসিবি, প্রস্তাব বিশেষ তহবিলের
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংক এমডিবিহীন, নেতৃত্ব সংকট তীব্র
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- লোকসান থেকে মুনাফায় বস্ত্র খাতের চার কোম্পানি
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- ‘বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ডাকাতদের আড্ডা হয়ে গেছে’
- কমোডিটি ডেরিভেটিভ যুগে প্রবেশ করছে দেশের শেয়ারবাজার