ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন গ্রেপ্তার
.jpg)
আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলি এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদকে কুষ্টিয়ায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোররাতে কালীশংকরপুর এলাকার একটি বাড়ি ঘিরে প্রায় তিন ঘণ্টার অভিযানে তাদের আটক করা হয় বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অভিযান চলাকালে তাদের কাছ থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের স্থানটি কুষ্টিয়া শহরের সোনার বাংলা মসজিদের পাশের একটি বাড়ি। জানা গেছে, এটি সাবেক আওয়ামী লীগ এমপি সোহরাবের বাসার পাশেই অবস্থিত।
সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই আত্মগোপনে থাকা এই দুজনকে ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছিল। তারা দুজনই ইন্টারপোলের রেড নোটিশধারী পলাতক আসামি এবং বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত এক লাখ টাকা পুরস্কারভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।
সুব্রত বাইন বাংলাদেশের একজন কুখ্যাত অপরাধচক্র নেতা। তাকে সচরাচর 'শীর্ষ সন্ত্রাসী' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় কমপক্ষে ৩০টি খুনের মামলা রয়েছে। ২০০৩ পর্যন্ত সুব্রত বাইন ছিলেন ঢাকার অপরাধ জগতের প্রভাবশালী চক্র সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান। ১৯৯১ সালে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদকে হত্যার মধ্য দিয়ে নামকরা সন্ত্রাসী হিসেবে সুব্রত বাইনের অভিষেক হয়। তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় যে ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, সুব্রত বাইন তাদের অন্যতম। পুলিশের হাতে আটক হওয়া এড়াতে সে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায়। ভারতে সে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। সে পশিচমবঙ্গে ব্যবসা গড়ে তোলেন। জমি কিনে সেখানে বাড়ি বানান।
অপরদিকে মোল্লা মাসুদের অপরাধজগতের শুরু সুব্রত বাইনের হাত ধরেই। রাজধানীর মতিঝিল ও গোপীবাগ এলাকায় তার ত্রাস ছড়ানো ছিল সুপরিচিত। ২০১৫ সালে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে সে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে ভারতেই অবস্থান করছিল। জানা যায়, সে এক ভারতীয় নারী রিজিয়া সুলতানাকে বিয়ে করে দীর্ঘদিন সেখানেই বসবাস করছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গ্রেপ্তারের পর তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। বহু বছরের পলাতক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আলোচিত এই দুই সন্ত্রাসীর গ্রেপ্তারকে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারি কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ, তালিকায় ২১ প্রতিষ্ঠান
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- দশ হাজার কোটি ঋণের বোঝায় আইসিবি, প্রস্তাব বিশেষ তহবিলের
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংক এমডিবিহীন, নেতৃত্ব সংকট তীব্র
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- লোকসান থেকে মুনাফায় বস্ত্র খাতের চার কোম্পানি
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- ‘বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ডাকাতদের আড্ডা হয়ে গেছে’
- কমোডিটি ডেরিভেটিভ যুগে প্রবেশ করছে দেশের শেয়ারবাজার