ঢাকা, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
চাপে অন্তর্বর্তী সরকার, খবর রয়টার্সের
.jpg)
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের এক অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীদের চলমান বিক্ষোভের মধ্যে আন্দোলনে নেমেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, রাজনৈতিক দল ও সামরিক বাহিনীর চাপের মুখে পড়েছে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার।
গত আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন প্রাণঘাতী বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিলে অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি দেশকে একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেও এখন তাকে নানা দিক থেকে চাপ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
সম্প্রতি সরকার এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছাড়াই অসদাচরণের অভিযোগে সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত করার ক্ষমতা দেয়। এই সিদ্ধান্তকে ‘দমনমূলক’ আখ্যা দিয়ে কর্মকর্তারা টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন।
একইসাথে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে হাজার হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে গেছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় কর্মীরা ধর্মঘট শুরু করলে সরকার রবিবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এতে ধর্মঘটও প্রত্যাহার করা হয়।
রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও তীব্র হয়েছে যখন এক শীর্ষ ছাত্রনেতা জানান, অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন— সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন।
তবে ইউনূসের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করছেন না। তিনি বলেন, “আমাদের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোথাও যাচ্ছি না।”
অধ্যাপক ইউনূস স্বীকার করেছেন, সামনে নানা বাধা আছে তবে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইউনূসের সরকার একদিকে দ্রুত নির্বাচন চায় অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার শেষ করতেও চায়। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করছেন।
এই দাবিকে সমর্থন করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও যিনি বলেছেন ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়া উচিত।
এই চাপের মধ্যে অধ্যাপক ইউনূস তার উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক করেন এবং বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্র নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “আমরা এখন যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে আছি।” তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর নানা ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিবন্ধন চলতি মাসে স্থগিত হওয়ায় দলটি কার্যত আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
তথ্য : রয়টার্স
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারি কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ, তালিকায় ২১ প্রতিষ্ঠান
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- দশ হাজার কোটি ঋণের বোঝায় আইসিবি, প্রস্তাব বিশেষ তহবিলের
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংক এমডিবিহীন, নেতৃত্ব সংকট তীব্র
- দুর্বল ৬ শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের হতাশা আরও বেড়েছে
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- লোকসান থেকে মুনাফায় বস্ত্র খাতের চার কোম্পানি
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ‘বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ডাকাতদের আড্ডা হয়ে গেছে’
- কমোডিটি ডেরিভেটিভ যুগে প্রবেশ করছে দেশের শেয়ারবাজার
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি ও বৈশ্বিক কাস্টডিয়ান ব্যাংকের বৈঠক