ঢাকা, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভাগে কোরবানির ক্ষেত্রে মানতে হবে যেসব নিয়ম

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ মে ২৭ ১৩:৩০:৫২
ভাগে কোরবানির ক্ষেত্রে মানতে হবে যেসব নিয়ম

কোরবানি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও নিদর্শন। কোরবানি প্রদানের মাধ্যমে মুসলিমরা হজরত ইবরাহিম (আ.) এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ বাস্তবায়ন করেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু জবাই করে কোরবানি দাতা আল্লাহর নৈকট্য লাভে আশাবাদী হন।

যার সামর্থ্য আছে তার জন্য একাই একটি পশু কোরবানি করা উত্তম। তবে কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশুগুলোর মধ্যে গরু, মহিষ ও উটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাতজন পর্যন্ত ভাগ করে কোরবানি করা বৈধ। অর্থাৎ সাতজন ব্যক্তি একটি গরু বা উটে অংশীদার হলে সেটিই তাদের সকলের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গাভি ও উট সাত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি করা যাবে।’ (আবু দাউদ: ২৭৯৯) সাহাবায়ে কেরামের আমলেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়।

তবে এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো—প্রত্যেক শরিকের নিয়ত অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে। কেউ যদি শুধুমাত্র মাংস পাওয়ার উদ্দেশ্যে শরিক হয় তাহলে সেই কোরবানি সহিহ হবে না। একইভাবে কোনো অমুসলিম যদি শরিক হয় তাহলেও পুরো কোরবানি অগ্রহণযোগ্য হবে।

ছাগল, ভেড়া বা দুম্বার কোরবানি একজনই দিতে পারে। এ ধরনের পশুতে একাধিক ব্যক্তি মিলে কোরবানি করা শরিয়তসম্মত নয়। আর উট, গরু বা মহিষের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবে। সাতজনের বেশি হলে কারো কোরবানিই সহিহ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭০, কাযিখান ৩/৩৪৯)

হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে হজ পালন করি তখন আমরা সাতজন মিলে একটি উট ও একটি গরু কোরবানি করি। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৩১৮)

উট, গরু ও মহিষে সাত ভাগে কোরবানি করা বৈধ তবে সাতের কমেও—যেমন দুই, তিন, চার বা পাঁচ ভাগে—কোরবানি করা জায়েজ। (হিন্দিয়া ৫/৩০৪)

শরিকে কোরবানি করলে কারো অংশ যেন এক-সপ্তমাংশের কম না হয়। অংশ কম হলে কোনো শরিকের কোরবানিই গ্রহণযোগ্য হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭১)

যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কোরবানি করার নিয়তে কিনে আনে এবং তিনি ধনী হন তাহলে ওই পশুতে অন্য কাউকে শরিক করলেও শরিয়তসম্মত। তবে একাই কোরবানি করা উত্তম। শরিক করলে ওই অংশের মূল্য সদকা করে দেওয়া ভালো। কিন্তু যদি তিনি গরিব হন, যার ওপর কোরবানি ফরজ নয় তাহলে যেহেতু পশুটি আল্লাহর উদ্দেশ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে, পরে অন্য কাউকে শরিক করা বৈধ নয়। যদি করেও ফেলেন তাহলে শরিকের অংশের সমপরিমাণ টাকা সদকা করে দেওয়া জরুরি। তবে গরিব ব্যক্তি যদি পশু কেনার সময়ই শরিক রাখার নিয়তে কিনে থাকেন তাহলে শরিকি কোরবানি বৈধ হবে। (হেদায়া ৪/৪৪৩, কাযিখান ৩/৩৫০–৩৫১)

শরিকে কোরবানি করলে মাংস অবশ্যই ওজন করে সমান ভাগে বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েজ নয়। (আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭, কাযিখান ৩/৩৫১)

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

বিআরইবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে আল্টিমেটাম

বিআরইবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে আল্টিমেটাম

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিমের অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ... বিস্তারিত