ঢাকা, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২
পদমর্যাদার গেজেট নিয়ে দীর্ঘদিনের মামলায় নতুন গতি

ডুয়া ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের পুরোনো মামলার শুনানি আবার শুরু হয়েছে। রোববার (১৮ মে) সকালে আপিল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইমান আলীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় তিন সপ্তাহের বিরতির পর আজ এই মামলার কার্যক্রমে নতুন করে অগ্রগতি দেখা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষে আজ যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। এর আগে, ২৭ এপ্রিল আপিল বিভাগে এই মামলার সর্বশেষ শুনানি হয়, যা আজ পর্যন্ত মুলতুবি ছিল।
রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নির্ধারণে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের, বিশেষ করে সচিবদের, বিচার বিভাগের জেলা জজদের চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এবং সমালোচিত হয়ে আসছে।
মূলত, ১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘রুলস অব বিজনেস’ অনুযায়ী একটি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রমের তালিকা প্রণয়ন করে, যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে ১১ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এরপর একাধিকবার সংশোধন সত্ত্বেও, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক ও দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন, যেখানে তিনি ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন।
২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে ১৯৮৬ সালের সংশোধিত ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করেন। এর পর রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় দেন। সেখানে হাইকোর্টের নির্দেশনার কিছু সংশোধন এনে আপিল বিভাগ তিনটি মৌলিক নির্দেশনা দেয়—
১. সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন; তাই রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার বিরোধপূর্ণ স্থানে সাংবিধানিক পদধারীদের অগ্রাধিকার থাকতে হবে।২. জেলা ও দায়রা জজ এবং সমমর্যাদার বিচারকগণ সরকারের সচিবদের সঙ্গে একসঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।৩. অতিরিক্ত সচিবগণ থাকবেন জেলা জজদের পরেই, অর্থাৎ ১৭ নম্বরে।
চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পরও রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের গেজেট বাস্তবায়ন নিয়ে মতবিরোধ রয়ে গেছে। এ কারণেই মামলাটি পুনরায় আলোচনায় এসেছে। আজকের শুনানিতে আদালতের দৃষ্টি মূলত সরকারের সেই ব্যাখার দিকে, যার ভিত্তিতে সচিবদের উঁচু স্থানে স্থান দেওয়া হয়েছে।
আদালত সংশ্লিষ্টদের মতে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার মতো সংবেদনশীল বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সমাধানে পৌঁছাতে হলে সংবিধান, বিচার বিভাগের মর্যাদা এবং প্রশাসনিক কাঠামোর ভারসাম্যকে গুরুত্ব দিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদের ধারণা, এই মামলার রায় প্রশাসন ও বিচার বিভাগের মধ্যকার পদমর্যাদা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে