ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২
বিদায়ী সপ্তাহে দুর্বল পারফরম্যান্স, চাপের মুখে শেয়ারবাজার

ডুয়া নিউজ: সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের বিদায়ী সপ্তাহের লেনদেন। টানা কয়েক দিনের নিম্নমুখী প্রবণতার ফলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধনে বড় ধস নেমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
তবে বাজারে কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। বিশেষ করে ‘এ’ ক্যাটাগরির কিছু শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে, যা বাজারে আস্থার ইঙ্গিত দেয়। আলোচ্য সপ্তাহে ব্যাংক খাত ও ইন্স্যুরেন্স খাতসহ কয়েকটি খাতের শেয়ারে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক থাকা বাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা, যা শতাংশের হিসেবে ০.৪৫ শতাংশ। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা।
একই সময়ে ডিএসইর সব সূচকই কমেছে। ডিএসইএক্স কমেছে ১২১.২৬ পয়েন্ট (২.৪৭%), ডিএসই-৩০ সূচক ৫০.২৪ পয়েন্ট (২.৭৬%) এবং ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩৫.৩৯ পয়েন্ট (৩.২৯%)।
লেনদেনেও পতন হয়েছে। পুরো সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৫ লাখ টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ২ হাজার ৪১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ১১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন নেমে এসেছে ৩২৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা—মানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৫০টির, কমেছে ৩২২টির, এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির শেয়ার দর।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ছিল একই প্রবণতা। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১.৬৫ শতাংশ এবং সিএসসিএক্স ১.৫১ শতাংশ। এছাড়া সিএসই-৫০ ও সিএসই-৩০ সূচক যথাক্রমে ১.২৭ ও ১.৪৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সিএসইতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০০টি কোম্পানির মধ্যে ৭৪টির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির শেয়ার দর।
সব মিলিয়ে, ঈদের ছুটির আগমুহূর্তে বাজারে চাঙ্গাভাব না দেখা যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কার্যকর উদ্যোগ ও ইতিবাচক নীতিগত সহায়তার প্রত্যাশা বাড়ছে। তবে বাছাইকৃত কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাজারে আস্থার কিছুটা হলেও বার্তা দিচ্ছে-এমনটাই মন্তব্য করেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১২ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৯ কোম্পানি
- ‘মুজিব’স ব্লান্ডার্স’: নেপথ্যের ষড়যন্ত্র উন্মোচন