ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২
জামিন পেলেন বিডিআরের আরও ৪০ জওয়ান

ডুয়া ডেস্ক: ২০০৯ সালের আলোচিত পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা আরও ৪০ জন বিডিআর জওয়ান জামিন পেয়েছেন।
ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়া গত ৮ মে এই জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানা গেছে ১২ মে, আদালত সূত্রে। তথ্যটি নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাৎ হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন জানান, জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছেন।
জামিন পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন: রেজাউল করিম, শাজাহান, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মো. শামীম, ওয়ালি উল্লাহ, হাবিবুর রহমান, তারিকুল ইসলাম, বনি আমিন চৌধুরী, মো. এ বারিক, ইমতিয়াজ আহমেদ নবীন, মোয়াজ্জেম হোসেন, মিজানুর রহমান, সিদ্দিকুর জামান জোয়ার্দার ওরফে লিটন, মো. এ মোনাফ, আকিদুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, কৌতুক কুমার সরকার, মো. সালাউদ্দিন, সোহরাব হোসেন, কামাল হোসেন, মো. ইশহাক, দারুল ইসলাম, শ্রী সুমন চক্রবর্তী, আবু সাঈদ, সেজান মাহমুদ, মো. সেলিম, বিধান কুমার সাহা, মাসুম হাসান, ফিরোজ মিয়া, শ্রী তাপস কুমার বিশ্বাস, কামাল মিয়া, নূর-এ-আলম মিয়া, এনামুল হক, শফিকুল ইসলাম, রবিউল আলম এবং আল আমিন।
এর আগে, ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি একই আদালত ১৭৮ জন বিডিআর সদস্যকে জামিন দেন, যাদের অধিকাংশ পরে কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি আলাদা মামলা হয়।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর হত্যার মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত, যেখানে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। হাইকোর্টে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ২২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রাখা হয়; খালাস পান ২৮৩ জন।
সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে মারা গেছেন। হত্যার মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি এবং রাষ্ট্রপক্ষ আরও ৮৩ জনের খালাস ও সাজা কমানোর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে। এসব আবেদন এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে বিদ্রোহের ঘটনার নতুন করে তদন্তের দাবিতে শহীদ পরিবারের সদস্যরা ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন। পরে সরকার ২৪ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে