ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ করেছে সরকার

ডুয়া নিউজ: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বৈদেশিক দেনার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকায়। অর্থাৎ, দায়িত্ব গ্রহণের পর এ খাতে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে সরকার।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট বৈদেশিক দেনা ছিল ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসেবে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা)। এখন তা ৮২৯ মিলিয়ন (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসেবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা) ডলারে নেমে এসেছে। এই বছরের মধ্যে এসব দেনা পরিশোধের পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বর্তমানে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৮২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া ৫২৯ মিলিয়ন ডলার, যেখানে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও কয়লা ক্রয়ের বিল উল্লেখযোগ্য। অপরদিকে, জ্বালানি খাতের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশিরভাগই এলএনজি আমদানির বিল।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ আনুমানিক ৫৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬টি এলএনজি কার্গো আমদানির পরিকল্পনা করেছে। পরবর্তী অর্থবছর ২০২৫-২৬ সালে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ১১৫টি কার্গো করার সম্ভাবনা রয়েছে, যার মোট আনুমানিক ব্যয় হবে ৬৭ হাজার ৬০৭ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা। এতে প্রতিটি কার্গোর গড় ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৮৭ কোটি টাকা।
সরকার জ্বালানি ভর্তুকি হিসেবে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে জানিয়েছেন ইএমআরডি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নতুন গ্যাস সরবরাহের জন্য সামান্য শুল্ক সমন্বয়ের ফলে ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে আমরা আরও বেশি এলএনজি আমদানি করতে পারব।”
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘বৈদেশিক বকেয়া পরিশোধের জন্য ৬০ দিনের একটি চক্র ধরে নেওয়া হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সরকার তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করবে।’
দেশীয় গ্যাসের মজুদ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন গভার্নমেন্ট-টু-গভার্নমেন্ট (জিটুজি) ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাজার থেকে এলএনজি আমদানি করছে। বর্তমানে প্রতি ইউনিট এলএনজির আমদানি ব্যয় পড়ছে প্রায় ৭০ টাকা, যা দেশীয় গ্যাসের সঙ্গে মিশিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকায়।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আগামী জুনে নির্ধারিত বৈঠনের আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বৈদেশিক দেনা পরিশোধে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চেয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফকে উপস্থাপনের জন্য এই কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- শিক্ষা ক্যাডারে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার প্রকাশে পিএসসির চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- মৌসুমী-হাসান জাহাঙ্গীরের বিয়ে: ওমর সানীর ‘জুতাপেটা’র হুমকি
- ঘুরে দাঁড়ানোর পথে দেশের শেয়ারবাজার: দৃশ্যমান হচ্ছে ইতিবাচক পদক্ষেপ
- ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি!
- ছাত্রদল সভাপতির পদ হারিয়েছেন রাকিব! যা জানা গেল
- মূলধন বাড়াতে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত
- ইপিএস প্রকাশ করেছে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানি
- সাবেক উপদেষ্টা গ্রেপ্তার:চাঞ্চল্যকর তথ্য