ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২
উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে উদ্বেগে দিল্লি, বাংলাদেশ বলছে ‘এটাই সুযোগ’

ডুয়া ডেস্ক: চীন সফরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে দেওয়া মন্তব্য ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ তৈরি হয়েছে। ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে ‘ল্যান্ড লক’ বলে অভিহিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এই অঞ্চলের সমুদ্রপথে প্রবেশের একমাত্র দ্বার হচ্ছে বাংলাদেশ—যাকে তিনি আখ্যা দেন “বঙ্গোপসাগরের গার্ডিয়ান” হিসেবে।
ড. ইউনূসের এমন মন্তব্যের পরই তৎপর হয়ে ওঠে দিল্লি। মোদি সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করাসহ অর্থনৈতিক অগ্রগতির নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি বিনিয়োগ আকর্ষণের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত।
সাম্প্রতিক ‘উত্তর-পূর্ব বিনিয়োগকারী শীর্ষ সম্মেলনে’ ভার্চুয়ালি অংশ নেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি এই অঞ্চলকে ভারতের ‘কৌশলগত প্রবেশদ্বার’ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বিনিয়োগকারীদের সম্ভাবনাময় এই অঞ্চলটিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
জয়শঙ্কর বলেন, “উত্তর-পূর্ব অঞ্চলটি আমাদের ‘প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকার’, ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ এবং ‘বিমসটেক’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এটি পাঁচটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের স্থলভাগে সংযোগ তৈরি করেছে এবং আসিয়ান ও ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে এক সেতুবন্ধন গড়ে তুলেছে।”
ড. ইউনূস চীন সফরে বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই (বাংলাদেশ) সমুদ্রপথের দেখভাল করি। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে এবং চীনা অর্থনীতির সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারে।”
এই বক্তব্য ঘিরে ভারতীয় রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয় জোরালো আলোচনা। বিষয়টি ঘিরে তৈরি হওয়া চাপের মুখে ভারত ঢাকায় চলমান বিনিয়োগ সম্মেলনের মাঝপথেই বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দেয়।
তবে বাংলাদেশও শক্ত অবস্থান নেয়। বরং ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলকে ‘নতুন সম্ভাবনার দরজা’ হিসেবে দেখছে ঢাকা। এর পরপরই ভারত থেকে সুতাসহ কয়েকটি পণ্যের আমদানি স্থগিত করে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ভারতের ওপর নির্ভরতা কমাতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ভারতের ভবিষ্যৎ কৌশলগত অবস্থান নিয়ে শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশও এখন অত্যন্ত সচেতন ও প্রস্তুত।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে
- ২০ লাখ শেয়ার কিনলেন তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার