ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
‘আপনারা যেভাবে পারেন আমার ছেলেকে উদ্ধার করে দেন’
.jpg)
ঢাবি প্রতিনিধি: “আমার ছেল বেঁচে আছে কি না জানি না। আমি জানি না তার বন্ধু আছে না শত্রু আছে। আপনারা যেভাবে পারেন আমার ছেলেকে উদ্ধার করে দেন।”
রবিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন থেকে কান্না জড়িত কন্ঠে এই আকুতি জানান জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালেদ হাসানের বাবা লুৎফর রহমান (৫০)।
প্রায় ৭২ ঘণ্টা ধরে ‘নিখোঁজ' খালেদ হাসানের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। খালেদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
পিতা লুৎফর রহমান বলেন, ‘খালেদের ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন করা সেটা সফল হয়েছে। যারা শহীদ ও আহত হয়েছে তারা দেশের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তার কি হয়েছে আমি জানি না। আমার দিন নাই, রাত নাই। আজকে এই অফিস, কালকে ওই অফিসে দৌড়াদৌড়ি করতেছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না। সে অবস্থায় থাকুক তাকে আপনারা উদ্ধার করে দেন।'
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার ভাই নিখোঁজ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘খালিদের সন্ধান, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘আমার ভাইকে ফিরিয়ে দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’ - ইত্যাদি স্লোগান দেন।
অতি দ্রুত খালেদ হাসানকে ফিরিয়ে দেয়া না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন খান বলেন, ‘আমরা দেখেছি যারা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলো তাদের অনেকের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর ইতোমধ্যে হামলা করা হয়েছে। আমাদের খালেদ কয়েকদিন থেকে নিখোঁজ। আমরা অতি দ্রুত তার সন্ধান চাচ্ছি।’
মুরাদ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ’আমরা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিতাড়িত করেছি। এরপর ইউনূস সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছেন তাদের অন্যতম একজন খালিদ তিন দিন ধরে নিখোঁজ অথচ প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাদিম মাহমুদ শুভ বলেন, আমার ভাই ৭২ ঘন্টা ধরে নিখোঁজ অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন খোঁজ নিতে পারতেছে না। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা কি করতেছে? লজ্জা, লজ্জা! আমরা এই ধরনের প্রশাসন চাই না।
আরেক শিক্ষার্থী তাহমিনা বিনতে আমিন, ‘আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কোনো জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারেনি এবং তার বিষয়ে কোন তদন্ত দিতে পারেনি। অতি দ্রুত তাকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে হবে।'
মানববন্ধন শেষে রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর প্রদক্ষিণ করে কলা ভবনের মূল গেটে এসে শেষ হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে হঠাৎ দরপতন, নেপথ্যে এনবিআরের চিঠি
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান