ঢাকা, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
.jpg)
ঢাবি প্রতিনিধি: দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়তে আসা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই গ্রাম অঞ্চল থেকে উঠে আসা। নতুন পরিবেশে এসে নিজেকে মানিয়ে নিতে সবচেয়ে বড় বাধা পেতে হয় অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের। শিক্ষার্থীদের এমন সংকট সমাধানে এবার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে (পূর্ব নাম স্নাতক) প্রথম বর্ষ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থীকে বৃত্তির আওতায় আনতে প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, গবেষণা ও এক্সাট্রাকারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সিন্ডিকেটে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হওয়ার পর প্রকল্পটিতে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী আনুষঙ্গিক কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা পুরো প্রথম বর্ষ (বছরব্যাপী) এ বৃত্তির আওতায় থাকবেন বলে জানা গেছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়। এদের অধিকাংশই আসে মফস্বল থেকে। অনেকেই প্রথম বারের মতো ঢাকায় আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হলের একটা সিট অথবা আর্থিক, মানসিক ও সার্বিক সহযোগিতা ছাত্র-ছাত্রীরা যতটুকু প্রত্যাশা করে সে ততটুকু পায় না। যার ফলে সে একটা ক্ষতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়। এই অবস্থার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাঝে যত সংকট তৈরি হয়, সমস্যা তৈরি হয় তার মূল কারণ হলো ভালনারেবল পরিস্থিতি।
অধ্যাপক মামুন বলেন, এ পরিস্থিতি উত্তরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা প্রকল্প হাতে নেয়ার কথা ভাবছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের শতভাগ বৃত্তির আওতায় আনা হবে। আমরা এটা এ কারণে করতে চাই যাতে করে সব চাইতে সংবেদনশীল সময় প্রথম বর্ষ, এ সময়টাতে ছাত্র-ছাত্রীদের শুধু আর্থিক দুশ্চিন্তার মাঝে না রেখে শুধুমাত্র পড়াশোনা এবং অ্যাকাডেমিক, কো-কারিকুলাম এবং এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিসের মধ্যে দিয়ে যেন ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা জড়িয়ে রাখতে পারি, সেজন্য আমরা প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শতভাগ বৃত্তির একটা প্রকল্প হাতে নিচ্ছি।
সিন্ডিকেটে ইতোমধ্যে আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে প্রাথমিক সিদ্ধান্তের আলোকে অন্য কাজগুলো এগিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানান অধ্যাপক মামুন আহমেদ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিও হিসাবে ৫ লাখ টাকা নগদ জমা ও উত্তোলনের কথা ভাবছে বিএসইসি
- সরকারি কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ, তালিকায় ২১ প্রতিষ্ঠান
- ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন বাতিল করল বিএসইসি
- বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন অর্থ উপদেষ্টা
- ‘এলাম পরামর্শ নিতে, পেলাম পদত্যাগের বার্তা’- বিএসইসি চেয়ারম্যানের ক্ষোভ
- মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও পাবলিক রুলস ইস্যুতে টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত সুপারিশ
- দশ হাজার কোটি ঋণের বোঝায় আইসিবি, প্রস্তাব বিশেষ তহবিলের
- দুর্বল ৬ শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের হতাশা আরও বেড়েছে
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংক এমডিবিহীন, নেতৃত্ব সংকট তীব্র
- ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
- ঢাকা অচলের ঘোষণা
- তিন কোম্পানির বোনাস ডিভিডেন্ডে বিএসইসির সম্মতি
- লোকসান থেকে মুনাফায় বস্ত্র খাতের চার কোম্পানি
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- শেয়ারবাজারে ৬১৭টি বিও হিসাব স্থগিত