ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২
ড. ইউনূসের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে যা বলছেন রোহিঙ্গারা

ডুয়া নিউজ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। তবে তারা জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তাদের জান-মাল, ভিটে-বাড়ি এবং নাগরিক অধিকার রক্ষা পায়। উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে বসবাসকারী ১২ লাখ রোহিঙ্গার পক্ষে স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন, তারা যেকোনো সময় মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
এর আগে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমার জান্তা সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ইউ থান শিউ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমানকে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে আছে আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গা। প্রত্যাবাসনের নতুন এই খবর শোনার পর উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। রোহিঙ্গা নেতারা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
তারা বলেন, "ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ করে এবং সফরের মাধ্যমে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। তাই অনুপ্রবেশের ৮ বছরের মধ্যে প্রত্যাবাসনের এই প্রক্রিয়াকে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন তারা।"
তারা আরও বলেন, "মাঝে কোন ধরনের বিরতি না দিয়ে একসঙ্গে প্রত্যাবাসন করাই হবে উপযুক্ত কাজ। ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় প্রত্যাবাসন করা হবে সেটিও স্পষ্ট করার দাবি করেন তারা। জান-মাল, ভিটে-বাড়ি ও নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তাসহ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পক্ষে রোহিঙ্গারা।"
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিচ এন্ড হিউম্যান রাইটস্ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুবাইর বলেন, "আমাদের দেশ আরাকানে ফিরে যেতে পারলে আমরা খুব বেশি খুশি এবং এটার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। এতদিন পর ড. ইউনূসের মতো একজন নেতা আমাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মিয়ানমার থেকে আর কোনো রোহিঙ্গা যাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ না করে, সেভাবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।"
কক্সবাজারের ত্রাণ, শরণার্থী ও প্রত্যাবাসনবিষয়ক অতিরিক্ত কমিশনার শামস্ উজ্ দোহা এ বিষয়ে বলেন, "এটি রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়। হাই অফিসিয়ালে যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে, তাই আমার পক্ষে বিস্তারিত বলার কিছু নেই। কোনো নির্দেশনা এলে সেটি আমরা বাস্তবায়ন করব।"
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৮-২০ সালে ছয় ধাপে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের তালিকা প্রদান করেছিল। সেই তালিকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে মিয়ানমারের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় অগ্রগতি বলে বিবেচিত হচ্ছে। তাছাড়া আরও সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাইয়ের কাজ জরুরি ভিত্তিতে করবে জান্তা সরকার।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা