ঘনঘন শিক্ষাক্রম পরিবর্তনে দিশেহারা শিক্ষার্থীরা
.jpg&w=315&h=195)
ডুয়া নিউজ : দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছিল করোনা ভাইরাস। সেসময় ব্যাহত হয় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়ালেখা। ধাপে ধাপে এ অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে গত কয়েকবছরে বারবার হোঁচট খেয়েছে দেশের শিক্ষাক্ষেত্র। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষাক্ষেত্রে নানামুখী সমস্যা আরও তীব্র হয়। আন্দোলনের কারণে দীর্ঘ চার মাস বন্ধ ছিল সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর তা খুললেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি। নানা দাবি, আন্দোলনে শিক্ষা কার্যক্রম বারবার ব্যহত হচ্ছে। কাটছে না সেশন জটের শঙ্কাও। অন্যদিকে ঘনঘন শিক্ষাক্রম পরিবর্তনে দিশেহারা হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
স্বাধীনতার পর দেশে শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন এসেছে সাত বার। এই সময়ে মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন হয়েছে তিন বার। সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন হয়েছে গত দেড় দশকে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, স্বাধীনতার ৫ দশকেরও অধিক সময় পার হলেও দেশের শিক্ষাক্রম কী হবে-তা এখনো দেশের বাস্তবতার নিরিখে সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ হয়নি। শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়াই ঘন ঘন শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের ওপর। একটি নতুন শিক্ষাক্রমে অভ্যস্ত হতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেক সময় চলে যায়। এভাবে একের পর এক নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে চলে আসছে পরীক্ষানির্ভর মূল্যায়ন পদ্ধতি। তবে এই শিক্ষাক্রম বাদ দিয়ে হুট করে ২০২৩ সাল থেকে অভিজ্ঞতানির্ভর মূল্যায়ন শুরু করেছিল পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। এই শিক্ষাক্রমে শেখানোর পন্থা, মূল্যায়ন ব্যবস্থাসহ শিক্ষার প্রচলিত পদ্ধতিই বদলে ফেলা হয়েছিল। একের পর এক শিক্ষাক্রম পরিবর্তনে পালটে যায় শ্রেণিকক্ষের পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবক মহলে তুমুল সমালোচিত নতুন শিক্ষাক্রম থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শিক্ষকদের প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়, মূল্যায়ন নিয়ে অস্পষ্টতা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাবকে দায় দিয়ে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, এতে অপচয় হয়েছে জনগণের শত শত কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের মতে, নতুন শিক্ষাক্রম থেকে সরকার মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণের পুরো টাকাই অপচয় হয়েছে।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়স চার মাস পার হলেও শিক্ষা ও শিক্ষা প্রশাসন সংস্কার নিয়ে তেমন কোনো সুখবর পাওয়া যায়নি। দেশের নানা ক্ষেত্র সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করা হলেও শিক্ষা সংস্কার নিয়ে কোনো কমিশন গঠিত হয়নি। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত বছরগুলোয় সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের সময়ই ‘শিক্ষা কমিশন’ গঠন করা দরকার ছিল। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাও শিক্ষা কমিশনসহ আরও কিছু সংস্কার কমিশন গঠনের কথা বললেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন’-এর জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটিও সমালোচনার কারণে বাতিল করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিভিন্ন কমিশন গঠন হলেও কোনও শিক্ষা কমিশন গঠন হয়নি, যা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সরকারের সময়কার সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিভিন্ন কমিশন গঠিত হলেও কোনো শিক্ষা কমিশন গঠন হয়নি, যা দুঃখজনক। অথচ আমরা একটি পার্মানেন্ট শিক্ষা কমিশন আশা করেছিলাম। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার শিক্ষা কমিশন গঠন করা হলেও তা যথাযথ সুফল বয়ে আনতে পারেনি। আমরা চাই এই দফায় একটি শিক্ষা কমিশন গঠন হবে। যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে শিক্ষা সংস্কারে কাজ করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, শিক্ষা নিয়েই তো প্রথম সংস্কার কমিশন হওয়া উচিত। যত কমিশনই হোক, মানুষ যদি সুশিক্ষিত না হয় কোনো সিস্টেমে কাজ হবে না। শিক্ষকদের যদি অবমূল্যায়ন করা হয়, তাহলে শিক্ষকতা পেশার প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হবে না।
পাঠকের মতামত:
- ঢাবি’র প্রায় ৩শ’ খ্যাতিমান গবেষককে সম্মাননা প্রদান
- আবারও ২ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ
- নাগরিকদের ফেরত দিল বিজিবি-বিএসএফ
- ব্রিটিশ বাংলাদেশি ফার্স্ট সিটিজেন অ্যালায়েন্সের সভা অনুষ্ঠিত
- সাময়িকভাবে নভোএয়ারের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ
- এবার ভারতের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পাল্টা পদক্ষেপ
- বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের জয়যাত্রা, ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি
- করিডোর নিয়ে মুখ খুললেন প্রেস সচিব
- এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ভারত
- ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দক্ষিণ আমেরিকার ২ দেশ
- মানবিক করিডোরের সমালোচনা করে যা বললেন ফরহাদ মজহার
- পাকিস্তানের অর্থনীতি ধ্বংসে তদবির করছে ভারত!
- ভারত নিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তার মন্তব্যের জবাব দিল সরকার
- বিমানের বিশেষ সুবিধা ফিরিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- ডুয়া সবসময় ঢাবির প্রয়োজনে এগিয়ে আসবে: আমিনুর রহমান
- বিশ্ববাজারে কমল জ্বালানি তেলের দাম
- প্রকৌশল খাতে ইপিএস বেড়েছে ১১ কোম্পানির
- প্রকৌশল খাতে ইপিএস কমেছে ২২ কোম্পানির
- ‘এমন কিছু করুন যাতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে শিক্ষা দেওয়া যায়’
- বেনাপোল থেকে উদ্ধার ভারতের সরকারি কারখানার গু’লি
- জোবাইদা রহমানের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে আইজিপির কাছে বিএনপির চিঠি
- পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে অশান্তির ছক, দুই ‘বিজেপি কর্মী’ গ্রেপ্তার
- ৬৯০ টাকায় মিলছে না এলপি গ্যাস; জানা গেল কারণ
- পাক কাশ্মীরীদের খাদ্য মজুতের নির্দেশ
- একসাথে খেলতে পারছি এটাই আনন্দের: কেয়া পায়েল
- মাসিক বিলের পাশাপাশি বকেয়াও পরিশোধ করছে বাংলাদেশ: রয়টার্স
- দিল্লিতে একই পরিবারের ৪ জনের মৃ’ত্যু
- আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ; যা বলছেন নেতারা
- গা’জায় ত্রাণবাহী জাহাজে ই’স’রায়েলের হা’মলা
- আল জাজিরার ডকুমেন্টারিতে যা বললেন সেনাপ্রধান
- ফের সুখবর পেলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
- মালয়শিয়ায় শ্রমিকদের সুবিধার্থে সরকারের নতুন পদক্ষেপ
- সর্বনিম্ন অবস্থানে স্বর্ণের দাম
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজার নিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্যের জরুরী বার্তা
- সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ, প্রতিবাদে ২ ভারতীয়কে আটকালো গ্রামবাসী
- প্রবাসীদের এসআইএস জটিলতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ চায় আয়েবা
- অন্তর্বর্তী সরকারকে যে আহ্বান জানালেন তারেক রহমান
- মেসিকে নিয়ে এশিয়ায় আসছে আর্জেন্টিনা, প্রতিপক্ষ যারা
- এক শাখার ঋণ খেলাপিতেই বিপর্যস্ত ইসলামী ব্যাংক
- বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সূচি প্রকাশ করল আরব আমিরাত
- দেশের অর্থনীতির জন্য আগামী ৭ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : প্রেস সচিব
- দুই পুত্রবধূসহ দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, জানা গেল তারিখ
- মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশি কৃষক আহত
- নতুন বিতর্ক শুরু ভারতে
- মদিনা থেকে আসা বিমানের ঢাকার ফ্লাইট বাধ্য হয়ে সিলেটে অবতরণ
- হজে গিয়ে বাংলাদেশির মৃত্যু
- পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় ৫ সেনাঘাঁটিতে গোলাগুলি
- লোকসান থেকে মুনাফায় বিদ্যুৎ খাতের দুই কোম্পানি
- সরকারি বরাদ্দের সিমেন্ট-বালু সেন্টমার্টিন নয়, গেলো মিয়ানমারে!
- মুনাফা থেকে লোকসানে বিদ্যুৎ খাতের দুই কোম্পানি
- পুনরায় হবে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
- ৮ এপ্রিলের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ ঢাবির
- বৃত্তির জন্য আবেদন আহ্বান করলো ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, শেষ সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি
- ভিসা ছাড়াই ৩৯ দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা
- তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ
- বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ প্রথমবারের মতো স্থান পেলো ঢাবির ৯ বিভাগ
- ঢাবি রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
- ১৭২ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন তিন কোম্পানির উদ্যোক্তারা
- প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানিতে বিদেশিদের সর্বোচ্চ বিনিয়োগ
- ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে মুক্তি পেল ৯ কোম্পানির শেয়ার
- ঢাবির গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের ‘গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ফ্রিল্যান্সিং’ কোর্সের রেজি. শুরু
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- লন্ডনে আওয়ামী লীগের পালানো মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের ইফতার
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে আরও ৭ কোম্পানি