ঢাকা, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের রায়ের পর শুরু হলো ঢাকায় নয়াদিল্লির কূটনৈতিক খেলা

২০২৫ নভেম্বর ১৯ ১৪:৪৭:৪৭

মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের রায়ের পর শুরু হলো ঢাকায় নয়াদিল্লির কূটনৈতিক খেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে অন্য কোনো দেশ আশ্রয় দিলে তা ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে গণ্য হবে, জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশজুড়ে আন্দোলনের মধ্যেই শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান এবং সেই থেকে নয়াদিল্লিতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।

বাংলাদেশ সরকারের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও ভারত তাকে ফেরত দেয়নি, যা ১৫ মাস ধরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর এই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে রায়ের পর হাসিনা–পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য ইতিবাচক ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

কিন্তু বেশ কিছু ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, বাস্তব পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি সম্ভবত তাকে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি করার জন্য বাংলাদেশে হস্তান্তর করবে না।

ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন, “নয়াদিল্লি কীভাবে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে?” জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অধ্যাপক সঞ্জয় ভরদ্বাজ বলেন, ভারতের দৃষ্টিতে এই ঘটনা বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, যারা হাসিনাকে উৎখাত করেছে, তারা ভারতকে দায়ী করছে, তাই যদি তাকে হস্তান্তর করা হয়, ভারতের বিরোধী পক্ষকে বৈধতা দেওয়া হবে।

ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা রায়ের বিষয়ে অবগত এবং সব অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থ রক্ষায় তারা কাজ করবে। তবে বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ততটা মসৃণ নয়। সাবেক হাইকমিশনার পিনাক চক্রবর্তী মনে করেন, এই পরিস্থিতি শিগগিরই পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের কাছে বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে হাসিনাকে আর কখনো রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ নেই। বরং ভারতের উচিত ঢাকার অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতকে অপেক্ষা করতে হবে, যাতে নির্বাচিত সরকার আসার পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখা যায়।

রাজনীতিবিদ এবং জনগণের প্রতিক্রিয়াকে তারা উপেক্ষা করতে পারবে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই নয়াদিল্লি ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফেরাতে চাইলেও বাস্তবতায় হাসিনার আর কোনো রাজনৈতিক সুযোগ নেই।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৯ নভেম্বর)

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৯ নভেম্বর)

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত হওয়ায় মুদ্রা বিনিময়ের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। লেনদেন সহজ করতে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে... বিস্তারিত