ঢাকা, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাচবাংলার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

২০২৫ নভেম্বর ১৭ ২৩:১৯:৩২

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাচবাংলার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনার একটি এজেন্ট শাখার ৫০ জন গ্রাহকের প্রায় ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ উচ্চপর্যায়ের পাঁচ কর্মকর্তা ও মোট নয়জনকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় যাদের নাম এসেছে তারা হলেন ব্যাংকের এমডি ও প্রধান নির্বাহী আবুল কাশেম মো. শিরিন, ডিএমডি (ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন) মো. সাহাদাৎ হোসেন, ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন কমপ্লায়েন্স প্রধান ফরহাদ মাহমুদ, এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আহাম্মেদ আসলাম আল ফেরদৌস, খুলনা অঞ্চলের সাবেক রিজিওনাল হেড এ এইচ এম কামরুজ্জামান, সাবেক এরিয়া ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম, আউটলেট রিলেশন অফিসার পলি খাতুন, মুন মানহা এজেন্ট শাখার মালিক এস এম সোহেল মাহমুদ এবং আড়ংঘাটা বাজার এজেন্ট শাখার টেলার আবদুল হান্নান।

দুদক কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসির রকেট অ্যান্ড এজেন্ট ব্যাংকিং অফিস, খুলনার অন্তর্গত মুন মানহা এজেন্ট শাখায় বিভিন্ন সময়ে ৫০ গ্রাহকের কাছ থেকে মোট ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা জমা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা গ্রাহকদের ফিরিয়ে না দিয়ে আত্মসাত করা হয়েছে।

রকিবুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর অনুমোদিত এজেন্ট হিসেবে আড়ংঘাটা বাজারে মুন মানহা শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই শাখাটি বন্ধ হয়ে যায় এবং এজেন্ট সোহেল মাহমুদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পলাতক হয়ে পড়েন।

তদন্তে দেখা যায়, ঘটনার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে। সেখানে উঠে আসে যে অর্থ আত্মসাতে সরাসরি জড়িত তিনজন ছাড়াও খুলনা রিজিওনাল অফিসের তদারকি ও মনিটরিং ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত দুর্বল। তারপরও ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এবং দোষীদের শনাক্ত বা শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়নি।

এজেন্ট ব্যাংকিংবিষয়ক ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নীতিমালা-২০২২ এ স্পষ্টভাবে বলা আছে এজেন্টের মাধ্যমে কোনো প্রতারণা বা আত্মসাত হলে গ্রাহকের জমা অর্থ ফেরত দেওয়ার সম্পূর্ণ দায় ব্যাংকের। যদিও নিয়মে এমন নির্দেশনা থাকলেও ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিল। এসব কারণেই প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত